বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: অবশেষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি পেয়েছে বিএনপি। মোট ২২টি শর্তে রবিবার এই সমাবেশ করতে পারবে দলটি।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে যায় বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল। এরপরই দলটিকে সমাবেশের অনুমতি দেয় ডিএমপি।
সমাবেশ করতে যে ২২টি শর্ত বিএনপিকে মানতে হবে-
১. অনুমতি পাওয়া স্থান ব্যবহারে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে।
২. বিকাল ৫টার মধ্যে সমাবেশ শেষ করতে হবে।
৩. ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত আসে’এমন কোনো ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন, বক্তব্য দেয়া বা প্রচার করা যাবে না।
৪. লাঠিসোটা, ব্যানার, ফেস্টুন বহনের আড়ালে লাঠি, রড ব্যবহার করা যাবে না।
৫. নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইডি কার্ডধারী স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করতে হবে।
৬. প্রবেশ পথে আর্চওয়ে এবং মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে আগতদের চেকিং করতে হবে।
৭. মিছিল নিয়ে সমাবেশে আসা যাবে না।
৮. উসকানিমূলক কোনো বক্তব্য দেয়া বা প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না।
৯. ‘রাষ্ট্রবিরোধী’আইনশৃংখলা পরিপন্থি বা জননিরাপত্তাবিরোধী কার্যকলাপ করা যাবে না।
১০. অনুমতি পাওয়া স্থানে অনুষ্ঠানের যাবতীয় কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
১১. সমাবেশের নির্ধারিত সময়ের আগে উদ্যান বা তার আশপাশের রাস্তা-ফুটপাটে সমবেত হওয়া যাবে না।
১২. যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়- এমন কিছু করা যাবে না।
১৩. নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠান স্থলের অভ্যন্তরে ও বাইরে রেজ্যুলেশনযুক্ত সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে।
১৪. নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অগ্নি নির্বাপণের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
১৫. অনুমোদিত স্থানের বাইরে সাউন্ড বক্স ব্যবহার করা।
১৬. সমাবেশ শুরুর দুই ঘণ্টা আগে থেকে লোক আসতে পারবে।
১৭. মঞ্চকে সমাবেশ ছাড়া অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে না।
১৮. নামাজ, আযানের সময় বা ধর্মীয় কাজ চলাকালে মাইক ব্যবহার করা যাবে না।
১৯. নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশে আসা লোকদের যানবাহন তল্লাশির ব্যবস্থা করতে হবে।
২০. সমাবেশস্থলের বাইরে প্রজেকশন ব্যবহার করা যাবে না।
২১. শর্ত ভঙ্গ করলে যে কোনো সময় কর্তৃপক্ষ সমাবেশের অনুমতি বাতিল করতে পারবে।
২২. জনস্বার্থে সমাবেশের অনুমতি বাতিলের ক্ষমতা কর্তৃপক্ষ সংরক্ষণ করে। সূত্র: ঢাকাটাইমস।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস