রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০১:২৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
স্বর্ণের দাম আরও বাড়ল এবার পোশাকে নায়িকাদের নাম ফুটিয়ে হাজির ভাবনা সোনালী আঁশের সুদিন ফিরিয়ে আনতে চাই: পাটমন্ত্রী অনিয়ম এড়াতে মোবাইল অ্যাপে চাল বিক্রি ৩০ দিনের মধ্যে শহীদ আনোয়ারা উদ্যান ফেরতের দাবি মাগুরায় রেলপথ শিগগিরই চালু হবে : রেলমন্ত্রী যিনি দেশ বিক্রি করতে চেয়েছিল আপনি তো ওনারই সন্তান হেফাজত নেতা মামুনুল হক ডিবিতে যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পুলিশ প্রস্তুত: আইজিপি সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মধ্যে স্কুলসামগ্রী বিতরণ শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের জাল ভোট পড়লেই কেন্দ্র বন্ধ: ইসি হাবিব ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে অ্যাস্ট্রা এয়ারওয়েজের চুক্তি স্বাক্ষর ইসলামী ব্যাংকের মাসব্যাপী ক্যাম্পেইন শুরু ডেপুটি গভর্নর বাংলাদেশ ব্যাংকে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশে বাধা নেই বেনাপোল-পেট্রাপোল দিয়ে ভারত ভ্রমণে তিনদিনের নিষেধাজ্ঞা ঢাবিতে বিষমুক্ত ফল নিশ্চিতের দাবিতে মানববন্ধন গোপালগঞ্জের সেপটিক ট্যাংকে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে ২ শ্রমিক নিহত দিল্লির তাপমাত্রা ৪৭ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে ভোট বর্জনই বিএনপির আন্দোলন: এ্যানি আফগানিস্তানে বন্যায় ৫০ জনের মৃত্যু

২০১৯-২০ অর্থবছরের ৫,২৩,১৯০ কোটি টাকার বাজেট পাস

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় রবিবার, ৩০ জুন, ২০১৯
  • ৫৩ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: ২০৪১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশের স্তর পেরিয়ে ধারাবাহিক ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করে একটি শান্তিপূর্ণ, সুখী, উন্নত ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যকে সামনে রেখে ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার বাজেট পাস করা হয়েছে। আজ রবিবার জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে নির্দিষ্টকরণ বিল, ২০১৯ পাসের মাধ্যমে এ বাজেট পাস করা হয়।

অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম মুস্তফা কামাল গত ১৩ জুন জাতীয় সংসদে ‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ : সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’-এ স্লোগান সম্বলিত এই বাজেট পেশ করেন। বাজেট পেশের এক পর্যায়ে অসুস্থ অর্থমন্ত্রী বক্তৃতা দিতে অসুবিধা বোধ করায় সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার পক্ষে বাজেট বক্তৃতা উপস্থাপন করেন। এছাড়া গতকাল প্রধানমন্ত্রী অর্থমন্ত্রীর পক্ষে সংসদে অর্থ বিল, ২০১৯ পাসের প্রস্তাব এবং বিলের ওপর আনিত বিভিন্ন সংশোধনীসহ জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে প্রেরণের প্রস্তাবের জবাব দেন। আজ রবিবার এ বিল পাস হয়।

আজ বাজেট পাসের প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ব্যয় নির্বাহের যৌক্তিকতা তুলে ধরে মোট ৫৯টি মঞ্জুরি দাবি সংসদে উত্থাপন করেন মন্ত্রীগণ। এই মঞ্জুরি দাবিগুলো সংসদে কণ্ঠভোটে অনুমোদিত হয়।
এসব দাবির মধ্যে মঞ্জুরি দাবির যৌক্তিকতা নিয়ে বিরোধীদলের সংসদ সদস্যরা মোট ৮৮৩টি ছাঁটাই প্রস্তাব উত্থাপন করেন। এর মধ্যে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, কৃষি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় খাতে ৪টি মঞ্জুরি দাবিতে আনিত ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর বিরোধী দলের সদস্যরা আলোচনা করেন। পরে কণ্ঠভোটে ছাঁটাই প্রস্তাবগুলো নাকচ হয়ে যায়।

এরপর সংসদ সদস্যগণ টেবিল চাপড়িয়ে নির্দিষ্টকরণ বিল-২০১৯ পাসের মাধ্যমে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট অনুমোদন করেন।

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠনের পর এটি হচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের প্রথম বাজেট। আর এটি আ হ ম মুস্তফা কামালেরও পেশ করা প্রথম বাজেট। এছাড়া গত অর্থ বছরের মতো এবারও সংসদে বিরোধীদলের উপস্থিতিতে বাজেট পাস করা হয়।

এবারের বাজেটে মোট রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সূত্রে আয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ২৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা, এছাড়া, এনবিআর বহির্ভূত সূত্র থেকে কর রাজস্ব ধরা হয়েছে ১৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। কর বহির্ভুত খাত থেকে রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৩৭ হাজার ৭১০ কোটি টাকা।

বাজেটে পরিচালনসহ অন্যান্য খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ২০ হাজার ৪৬৯ কোটি টাকা। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ২ লাখ ২ হাজার ৭২১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

বাজেটে সার্বিক বাজেট ঘাটতি ১ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা দেখানো হয়েছে, যা জিডিপির ৫ শতাংশ। এ ঘাটতি অর্থায়নে বৈদেশিক সূত্র থেকে ৬৮ হাজার ১৬ কোটি টাকা, অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ৭৭ হাজার ৩৬৩ কোটি টাকা, অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ৪৭ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা এবং সঞ্চয়পত্র ও অন্যান্য ব্যাংক বহির্ভূত উৎস থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকা সংস্থানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৮.২ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৫.৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।

বাজেটে সামাজিক অবকাঠামোগত খাতে মোট ১ লাখ ৪৩ হাজার ৪২৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, যা মোট বরাদ্দের ২৭.৪১ শতাংশ। এর মধ্যে মানব সম্পদ খাতে- শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য খাতে ১ লাখ ২৯ হাজার ৫৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ বরাদ্দের মধ্যে শিক্ষা খাতে ২৪ হাজার ৪০ কোটি টাকা রয়েছে ও ভৌত অবকাঠামো খাতে ১ লাখ ৬৪ হাজার ৬০৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে সার্বিক কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন খাতে ৬৬ হাজার ২৩৪ কোটি টাকা, বৃহত্তর যোগাযোগ খাতে ৬১ হাজার ৩৬০ কোটি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ২৮ হাজার ৫১ কোটি টাকা রয়েছে। সাধারণ সেবা খাতে ১ লাখ ২৩ হাজার ৬৪১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, যা মোট বরাদ্দের ২৩.৬৩ শতাংশ।

এছাড়া সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব (পিপিপি) এবং বিভিন্ন শিল্পে আর্থিক সহায়তা, ভর্তুকি, রাষ্ট্রায়ত্ত, বাণিজ্যিক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের জন্য ব্যয় বাবদ ৩৩ হাজার ২০২ কোটি টাকা বরাদ্দের দেওয়া হয়েছে, যা মোট বরাদ্দের ৬.৩৫ শতাংশ। সুদ পরিশোধ বাবদ ৫৭ হাজার ৭০ কোট টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, যা মোট বরাদ্দের ১০.৯১ শতাংশ। নিট ঋণ দান ও অন্যান্য ব্যয় খাতে ১ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, যা মোট বরাদ্দের ০.২৪ শতাংশ।

নতুন বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা, যোগাযোগ অবকাঠামো, ভৌত অবকাঠামো, আবাস, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি, কৃষি, মানবসম্পদ উন্নয়ন খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com