রাজশাহীতে ১৮ লাখ টাকা কুড়িয়ে পেয়েছেন শিক্ষার্থীরা। পরে সে টাকা থানায় জমা দেওয়া হয়েছে। টাকার ব্যাগের সঙ্গে সোনালী রঙের একটি রহস্যজনক ধাতব বস্তু পাওয়া গেছে। এই ধাতব বস্তুটিতে ১৮টি ছিদ্র আছে। এগুলো কোন সংকেত বলে ধারণা করা হচ্ছে। পুলিশ বলছে, এই টাকা কোথা থেকে এল তা তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রোববার (১৮ আগস্ট) ভোর ৫টার দিকে নগরীর ভদ্রা এলাকার একটি গলির ভেতর ব্যাগভর্তি এই টাকা পড়ে ছিল। বেলা ১১টার দিকে কয়েকজন শিক্ষার্থী নগরীর বোয়ালিয়া থানায় গিয়ে টাকাগুলো জমা দেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নগরীর বড়কুঠি ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার ইকবাল হোসেনের উপস্থিতিতে বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাসুদ পারভেজ টাকাগুলো গ্রহণ করেন।
থানায় টাকা জমা দিতে এসেছিলেন নাটোরের সিংড়ার রহমত ইকবাল ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী আকাশ আলীসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী। তাদের বাড়ি ভদ্রা এলাকায়।
আকাশ জানান, নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য তারা রাতভর নগরীর ভদ্রা এলাকায় অবস্থান করেন। রাতের ডিউটি শেষে তারা ভোরে বাসায় ফিরছিলেন। তখন এলাকার একটি ছাত্রাবাসের সামনে একটি ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখেন।
ব্যাগটিতে লাথি দিলে তারা দেখেন ভেতরে কিছু আছে। তখন তারা ব্যাগটি খুলে দেখেন ভেতরে ১০০ টাকার নোটের ১৮টি বান্ডিল। মোট টাকার পরিমাণ ১৮ লাখ। ব্যাগে তারা সোনালী রঙের একটি ধাতব বস্তুও পান। ধাতব বস্তুটিতে ১৮টি ছিদ্র আছে। এটি কোন সংকেত বলে তারা ধারণা করছেন। এইসবই তারা থানায় এনে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে জমা দিয়েছেন।
বোয়ালিয়া থানার ওসি এসএম মাসুদ পারভেজ জানান, আদালতের অনুমতি নিয়ে টাকাগুলো এখন রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া হবে। পাশাপাশি এই টাকার মালিক কে, এগুলো অবৈধ টাকা কি না কিংবা কোনো অপরাধী এ টাকা বহন করার সময় পড়ে গেছে কি না তা তদন্ত করা হবে। তদন্ত সাপেক্ষে এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএম