বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা : ১৮টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সনদ অবৈধ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
আজ ইউজিসি এ বিষয়ে একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে। এতে বলা হয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের অর্জিত ডিগ্রির মূল সনদ ভাইস চ্যান্সেলর এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক স্বাক্ষরিত হতে হবে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান বলেন, এসব ‘অবৈধ সনদে’ রাষ্ট্রপতি নিয়োজিত কোনো উপাচার্য স্বাক্ষর করলে সেগুলো বৈধ হিসেবে গণ্য হবে। অন্যথায় অবৈধই থাকবে।
গণবিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, প্রতিষ্ঠার পর থেকে কোনো উপাচার্য, উপউপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ না থাকায় ঈশাখাঁ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, জেড এইচ শিকদার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ ওয়েস্টার্ন, নটরডেম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ইউনিভার্সিটি, রণদা প্রসাদ সাহা বিশ্ববিদ্যালয়, সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কাদিরাবাদে আর্মি ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি, সৈয়দপুরে আর্মি ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি এবং কুমিল্লায় বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির সনদ বাতিল হয়েছে।
২০০৯ সাল পর্যন্ত উপাচার্য থাকলেও বর্তমানে তিনটি শীর্ষ পদ ফাঁকা থাকায় অবৈধ ঘোষণা করা হয় এশিয়ান এবং রয়েল ইউনিভার্সিটির সনদ। ইবাইস ইউনিভার্সিটিতে ২০১২ সাল, ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটিতে ২০১৩ সাল এবং দি পিপলস ইউনিভার্সিটি ও প্রিমিয়ার ইউনিভার্সির্টিতে ২০১৪ সাল পর্যন্ত উপাচার্য ছিল। বর্তমানে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য, উপউপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ না থাকায় সেগুলোর সনদও অবৈধ।
সাউথ এশিয়া ইউনিভার্সিটিতে ২০১৬ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত এবং জার্মান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে গত মার্চ মাস পর্যন্ত উপাচার্য থাকলেও এখন উপাচার্য, উপউপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের তিনটি পদ ফাঁকা থাকায় ওইসব বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদ অবৈধ ঘোষণা করেছে ইউজিসি।
বাংলা৭১নিউজ/সি