শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
চাচাকে বাবা বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় বিসিএস ক্যাডার! হাইকোর্টের নতুন রেজিস্ট্রার হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী লামায় অগ্নিসংযোগ: ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে উপদেষ্টা-প্রশাসন নসরুল হামিদের ৩৬ কোটি টাকার সম্পদ, অস্বাভাবিক লেনদেন ৩১৮১ কোটি তিন উপদেষ্টাকে বিপ্লবী হতে বললেন সারজিস আলম জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে আওয়ামী লীগ নেতা বলরাম ফায়ার ফাইটার নিহতের ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা কোরিয়া থেকে ৬৯৩ কোটি টাকার এলএনজি কিনবে সরকার সাভারে বন্ধ টিএমআর কারখানা চালুর নির্দেশনা উপদেষ্টার দুদকের সাবেক কমিশনার জহুরুল হকের দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু কনস্টাসকে ধাক্কা দেওয়ায় কোহলিকে আইসিসির শাস্তি শেখ হাসিনা-শেখ রেহানার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করার দাবি ফখরুলের ১১ বছর পর দেশে ফিরছেন ব্যারিস্টার রাজ্জাক যারা নির্বাচনকে বিতর্কিত করেছেন, তাদের বিচারের আওতায় আনা উচিত প্রাণ এএমসিএলের ৩২ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন সেতু মন্ত্রণালয় থেকে বাদ যাচ্ছে ১১১৮৬ কোটি টাকার অপ্রয়োজনীয় ব্যয় বিমানের সিটের নিচে মিলল ২০ সোনার বার, যাত্রী আটক ‘পিলখানা হত্যায় নিরপেক্ষ থেকে ষড়যন্ত্র চিহ্নিত করা হবে’ চোখের জলে এক বীরকে বিদায় দিল ফায়ার সার্ভিস

১৮৪ বস্তা চাল চুরি, আ.লীগ নেতা গ্রেফতার

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় মঙ্গলবার, ১৬ জুন, ২০২০
  • ৯৭ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,(বরিশাল)প্রতিনিধি: জেলেদের ১৮৪ বস্তা চাল চুরির মামলায় বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও কেদারপুর ইউনিয়ন পরিষদের বহিষ্কৃত চেয়ারম্যান নূরে আলমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৬ জুন) সকালে কেদারপুর ইউনিয়নের স্টিমারঘাট সংলগ্ন বাড়ির পাশ থেকে নূরে আলমকে গ্রেফতার করা হয়।

গত ১৫ এপ্রিল র‍্যাব-৮ সদস্যরা অভিযান চালিয়ে নূরে আলমের বাড়ি থেকে জেলেদের ১৮৪ বস্তা চাল উদ্ধার করেছিল। ওই সময় র‍্যাবের অভিযান টের পেয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান চেয়ারম্যান নূরে আলম। ওই দিনই র‍্যাব বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করে। এরপর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন নূরে আলম।

নূরে আলম কেদারপুর ইউনিয়নের স্টিমারঘাট এলাকার বাসিন্দা। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং কেদারপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।

র‍্যাব-৮-এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মুকুর চাকমা বলেন, জেলেদের চাল ওজনে কম দেয়া হচ্ছে- এমন অভিযোগ পেয়ে ১৫ এপ্রিল কেদারপুর ইউনিয়ন পরিষদে অভিযান চালানো হয়েছিল। জনপ্রতি ৪০ কেজি চাল বিতরণের কথা থাকলেও প্রতিজনকে ১০ কেজি করে কম দেয়া হয়। এ অভিযোগে আটক করা হয় ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. জাকির হোসেন ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. রোকনউজ্জামানকে।

পরে র‍্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, চেয়ারম্যান নূরে আলম জেলেদের মাঝে বিতরণের জন্য তাদের ৩৫ কেজি করে চাল দিয়েছেন। বাকি পাঁচ কেজি করে চাল তারা রেখে দিয়েছেন। এ কারণে ৪০ কেজি করে না দিয়ে তারা জনপ্রতি ৩০ কেজি করে চাল দিয়েছেন। চেয়ারম্যান নূরে আলমের বাড়িতে বেশ কয়েক বস্তা চাল রাখা আছে বলে জাকির ও রোকনউজ্জামান র‍্যাবকে জানান।

এএসপি মুকুর চাকমা আরও বলেন, জাকির ও রোকনউজ্জামানের দেয়া তথ্যের সূত্র ধরে সেই দিনই চেয়ারম্যান নূরে আলমের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। উদ্ধার করা হয় ৩০ কেজি ওজনের ১৮৪ বস্তা চাল। প্রতি বস্তা ৩০ কেজি হিসেবে পাঁচ হাজার ৫২০ কেজি চাল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় নূরে আলমকে চেয়ারম্যান পদ থেকে বহিষ্কার করে।

বাবুগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি মিজানুর রহমান বলেন, চাল চুরির মামলার আসামি নূরে আলম দুই মাস আত্মগোপনে ছিলেন। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারি মঙ্গলবার সকালে কেদারপুর ইউনিয়নের স্টিমারঘাট সংলগ্ন তার বাড়িতে আসবেন। পুলিশ আগে থেকেই সেখানে অবস্থান নেয়। এরপর তাকে গ্রেফতার করা হয়।

বাংলা৭১নিউজ/জেআই

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com