পুঁজিবাজারে নিবন্ধিত এনআরবি কমার্শিয়াল (এনআরবিসি) ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০২১ সালে ১৫ শতাংশ ডিভিডেন্ড সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে ৭.৫০ শতাংশ ক্যাশ এবং ৭.৫০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ট।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং ব্যাংকের ৯ম বার্ষিক সাধারণ সভার অনুমোদন সাপেক্ষে এ ডিভিডেন্ড প্রদান করা হবে।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান এসএম পারভেজ তমালের সভাপতিত্বে বুধবার ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত পরিচালনা পর্ষদের ১৩৮তম সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মিয়া আরজু, পরিচালক মোহাম্মদ আদনান ইমাম, মোহাম্মদ অলিউর রহমান, আবু বকর চৌধুরী, লকিয়ত ঊল্লাহ, একেএম মোস্তাফিজুর রহমান, বিকল্প পরিচালক ড. কুতুব উদ্দিন, স্বতন্ত্র পরিচালক এয়ার চিফ মার্শাল (অব) আবু এশরার, ড. খান মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, রাদ মজিব লালন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী গোলাম আউলিয়া, এএমডি কাজী মো. তালহা, ডিএমডি ও সিএফও হারুনুর রশীদ এবং কোম্পানি সেক্রেটারি মো. রিয়াজ উদ্দিন আসিফ উপস্থিত ছিলেন।
আগামী ২ জুন অনলাইনে ব্যাংকের ৯ম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ব্যাংকের ডিভিডেন্ড-এর রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ মে। সভায় ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়া ২০২১ সালের বার্ষিক নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুমোদিত হয়।
আর্থিক বিবরণী অনুসারে, ২০২১ সাল শেষে (জানুয়ারি-ডিসেম্বর) সমন্বিতভাবে ব্যাংকের ইপিএস দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ৭ পয়সায়। গত ২০২০ সাল শেষে যা ছিল ১ টাকা ৮৭ পয়সা। আলোচ্য সময়ে এককভাবে ইপিএস ১ টাকা ৮২ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ২ টাকা ৮৩ পয়সা। এক বছরে ইপিএস বৃদ্ধির হার ৬৪ শতাংশ।
ডিসেম্বর শেষে সমন্বিত হিসেবে ব্যাংকটির ব্যালান্সশিটের আকার দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৪৪৪ কোটি টাকা। যা আগের বছরের ডিসেম্বরে ছিল ১১ হাজার ৬৬৪ কোটি টাকা। এছাড়া সমন্বিতভাবে বছর শেষে ব্যাংকটির নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৯৮ কোটি ৯৭ লাখ ৩৯ হাজার ৫০৭ টাকা। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে যা ছিল ৯৮৩ কোটি ৫০ লাখ ৬৭ হাজার ১৭২ টাকা। এককভাবে এনএভি হয়েছে ১ হাজার ১৮০ কোটি ৮৬ লাখ ২৩ হাজার ১৬৩ টাকা। আগের বছরের ডিসেম্বরে ছিল ৯৭৯ কোটি ৭৫ লাখ ৪৩ হাজার ৭১০ টাকা।
পরিচালনা পর্ষদের সভায় জানানো হয়, ২০২০ বছরের ডিসেম্বরে ব্যাংকের শাখা-উপশাখা ছিল ৪৫০টি, গত বছর শেষে যা বেড়ে হয়েছে ৭২৯টি। ব্যাংকে সব মিলিয়ে প্রত্যক্ষভাবে ৬০০০ জনের কর্মসংস্থান হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এমকে