দীর্ঘ ১৫ বছর পর প্রথম বারের মতো ফিলিস্তিনে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের কার্যালয় থেকে হঠাৎ করে নির্বাচনের ঘোষণা আসে।
প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের এক ডিক্রিতে বলা হয়, অধিকৃত পশ্চিম তীর, গাজা ও পূর্ব জেরুজালেমের সব এলাকায় সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২২ মে পার্লামেন্ট নির্বাচন এবং ৩১ জুলাই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সম্প্রতি ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকের পথে হাটে একের পর এক আরব দেশ। আবার কোনো কোনো দেশের বিরুদ্ধে ইসরাইলের সাথে গোপন সম্পর্ক স্থাপনের গুঞ্জনও উঠে আসে গণমাধ্যমের খবরে।
আরব দেশগুলো ইসলাইলকে একের পর এক স্বীকৃতি দেয়ায় এক ধরণের সঙ্কটের মধ্যে রয়েছে ফিলিস্তিন। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হলো।
মাহমুদ আব্বাসের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। নির্বাচনের প্রক্রিয়া সফল করতে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে বলেও জানায় সংগঠনটি।
হামাসের মুখপাত্র ফাউজি বারহৌম বলেন, গত কয়েক মাস ধরে আমরা সমস্ত বাধা পার হওয়ার জন্য নানা রকমের সংলাপ করেছি এবং আমাদের পক্ষ থেকে অনেক উদারতা দেখিয়েছি। এরপরই আজকের এ দিনে উপনীত হতে পেরেছি। কোনো বাধা ও নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই ভোটাররা যেন নিজেদের ইচ্ছা মতো ভোট দিতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে।
২০০৬ সালে দেশটিতে পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনে হামাস ভূমিধস জয় পায়। হামাস নির্বাচনী অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করা শুরু করলে ২০০৭ সাল থেকে গাজা উপত্যাকাকে অবরোধ করে রেখেছে ইসরাইল।
গত এক দশক ধরে ফিলিস্তিনের রাজনৈতিক দল ফাতাহ ও হামাস নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়ে আসলেও নির্বাচন অনুষ্ঠানের মতো পরিবেশ নিশ্চিত করার ব্যাপারে দু’দল কখনো একমত হতে পারেনি। অবশেষে নতুন নেতৃত্ব বাছাইয়ের সুযোগ পাচ্ছেন ফিলিস্তিনিরা।
বাংলা৭১নিউজ/এমএস