দেশের ১৪ অঞ্চলের ওপর দিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মধ্যে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। একই সঙ্গে বৃষ্টি কমে দিনের তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
এরই মধ্যে বৃষ্টির প্রবণতা কিছুটা কমে গেছে। বুধবার সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম, বরিশাল বিভাগ ছাড়া দেশের অন্যান্য অংশ ছিল প্রায় বৃষ্টিহীন। এ সময়ে নোয়াখালীর হাতিয়ায় সর্বোচ্চ ৮৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। কুমিল্লা ছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগের প্রায় সব এলাকায় বৃষ্টি ছিল।
দেশের কয়েকটি অঞ্চলে যে তাপপ্রবাহ বইছিল, বুধবার তা-ও দূর হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার আকাশ ছিল রোদময়। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে মেঘের আনাগোনা।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর, পাবনা, বগুড়া, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস তুলে ধরে আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কামাল মল্লিক জানান, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
এ সময়ে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে জানিয়ে আগামী পাঁচদিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে তিনি বলেন, এ সময়ে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি কমতে পারে এবং এসময়ের শেষ দিকে তাপমাত্রা বাড়তে পারে।
বুধবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল টাঙ্গাইলে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার সকালে শ্রীমঙ্গল ও বান্দরবানে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ