বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ব্যবসা বেহাল। নিয়মিত ছবি দেখতেও দর্শক এখন প্রেক্ষাগৃহে যাচ্ছে না। এরইমধ্যে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি আগামী ১২ই এপ্রিল থেকে দেশের ১৭৪টি প্রেক্ষাগৃহ বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন।
আজ সকাল ১১টায় সেগুনবাগিচাস্থ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত এক বক্তব্যে এমনই কথা জানান মধুমিতা সিনেমা হলের অন্যতম কর্ণধার ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সভাপতি ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ। ‘সিনেমা হল বাঁচলেই চলচ্চিত্র শিল্প বাঁচবে’ শীর্ষক এই সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম প্রদর্শক সমিতির সভাপতি আবুল হোসেন, প্রদর্শক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস, প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান উপদেষ্টা মিয়া আলাউদ্দিন এবং প্রদর্শক সমিতির আরেক উপদেষ্টা মির্জা আবদুল খালেকসহ আরো অনেকে।
প্রেক্ষাগৃহ বন্ধের ঘোষণার বিষয়ে প্রদর্শক সমিতির সভাপতি ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ লিখিত এক বক্তব্যে বলেন, চলচ্চিত্রের দুরবস্থা কাটিয়ে উঠার সম্ভাব্য উপায় নিয়ে আমরা মাননীয় তথ্যমন্ত্রী এবং তথ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেছি। কিন্তু তারা সুনির্দিষ্টভাবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহগুলোকে বাঁচানোর কিংবা দেশীয় ছবির উৎপাদন বাড়ানো এবং উপমহাদেশীয় ছবি আমদানির বাধাসমূহ অপসারণের কোনো কার্যকর পথনির্দেশ তারা করতে পারেনি। বাংলাদেশে প্রেক্ষাগৃহ ১২৩৫ থেকে ১৭৪-এ নেমে এসেছে। এদিকে বর্তমানে প্রদর্শক ও প্রযোজকের পুঁজি ধ্বংস হয়েছে, প্রেক্ষাগৃহের ৫০ হাজার শ্রমিক বেকার হয়েছে।
চলচ্চিত্রের বাজার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আগামী ১২ই এপ্রিল থেকে সারা দেশে প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ করে দেব। এটাই এখন আমাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
বাংলা৭১নিউজ/এবি