রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:০৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
শেয়ারবাজারে সপ্তাহজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ইসলামী ব্যাংক ঢাকার খাল দিয়ে ব্লু নেটওয়ার্ক তৈরির পরিকল্পনা করছে সরকার জাতিসংঘে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য রাষ্ট্রকে অনন্য উচ্চতা দিয়েছে: আ স ম রব স্বৈরাচারের সহযোগী দলগুলোকে ১০ বছর রাজনীতি নিষিদ্ধ করা উচিৎ জনগণের আস্থা ফেরানোর চেষ্টা করছি: ডিএমপি কমিশনার ইউক্রেনে মেডিকেল সেন্টারে রাশিয়ার হামলা, নিহত ৬ পাবনায় পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু হিজবুল্লাহ প্রধান নাসরাল্লাহকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের রিমান্ড শেষে কারাগারে সাবেক রেলমন্ত্রী সুজন দ্বিতীয় দিন একটি বলও মাঠে গড়ালো না প্রশাসনে আ. লীগের দোসরদের রেখে রাষ্ট্র সংস্কার সম্ভব নয় : রিজভী ঢাকায় একদিনে ট্রাফিক আইনে ৬৩৩ মামলা, জরিমানা ২৩ লাখ বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়া দুই ভারতীয় আটক পুলিশে ৩৬০০ কনস্টেবল নিয়োগ, আবেদন শুরু ১ অক্টোবর বিদেশি বিনিয়োগ টানতে উন্নত ব্যবসায়িক পরিবেশ তৈরির পরামর্শ আত্মসমর্পণ করবেন মাহমুদুর রহমান, যেতে হতে পারে কারাগারে ‘অজনা কারণে’ পেশাগত সনদ পাননি ৩ হাজারেরও বেশি নার্স চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলো ভারত দেশের উত্তরাঞ্চলে ভারী বৃষ্টি হতে পারে আজও আমার কথা বলে চাঁদা-সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করলে পুলিশে দিন

১১ কোটি টাকার হিসাবে গরমিল, ফাঁসছেন ব্যাংক কর্মকর্তা

বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা:
  • আপলোড সময় সোমবার, ১১ মার্চ, ২০২৪
  • ২০ বার পড়া হয়েছে

জনতা ব্যাংক লিমিটেডে কর্মরত মো. এনায়েত উল্লাহ নামের এক সিনিয়র অফিসারের ১১ কোটি ২১ লাখ টাকার হিসাবে গরমিল ধরা পড়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানে।

দালিলিক হিসাব অনুযায়ী স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ও ঋণসহ ওই সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া গেলেও তার বিপরীতে দুদকের অনুসন্ধানে ১০ কোটি ৩৮ লাখ টাকার সম্পদের বৈধ উৎস মিলেছে। অর্থাৎ ৮২ লাখ ৬৯ হাজার টাকার হিসাব দিতে পারেননি ওই ব্যাংক কর্মকর্তা।

যে কারণে এনায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে মামলার সুপারিশ করেছেন অনুসন্ধান কর্মকর্তা উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান। দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

তার স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে ঢাকা সূত্রাপুরে ১৪ শতাংশ জমিতে নির্মিত ভবনে ১৬টি ফ্ল্যাটের মালিকানা, নন্দীপাড়ায় সাড়ে ১৩ শতাংশ জমি, সাতারকুলে ১৪ শতাংশ জমি, পূর্ব বাসাবোতে একটি ফ্ল্যাট, উত্তরখানে ৫ শতাংশ জমি, সিদ্ধেশ্বরী ও বাকুশাহ হকার্স মার্কেটে তিনটি দোকানসহ নিজ এলাকা চাঁদপুরে ৯০ শতাংশ জমির মালিকানা। শুধু তাই নয় ব্যাংক কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর হিসাবে ২০১০ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ১৬ কোটি ৫৪ লাখ টাকার সন্দেহভাজন লেনদেনের তথ্যও মিলেছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধান কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কমিশন নেবে। এ বিষয়ে বক্তব্য দেওয়া সম্ভব নয়, আপনি জনসংযোগ দপ্তরে যোগাযোগ করেন।

অনুসন্ধান প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, মো. এনায়েত উল্লাহ ১৯৮৭ সালের ১ ডিসেম্বর জনতা ব্যাংকের গোডাউন কিপার হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন। ২০১০ সালে অফিসার পদে এবং ২০১৬ সালে সিনিয়র অফিসার হিসেবে পদোন্নতিপ্রাপ্ত হয়ে একই পদে কর্মরত আছেন। তার স্ত্রী হাসিনা বেগম একজন গৃহিণী। তাদের দুইটি সন্তান রয়েছে।

অনুসন্ধানকালে প্রাপ্ত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি মো. এনায়েত উল্লাহর নিজ ও স্ত্রীর নামে সর্বমোট ১ কোটি ১ লাখ ৭৯ হাজার ৫১২ টাকার স্থাবর এবং ৮ কোটি ৪৫ লাখ ৮৯ হাজার ১৪২ টাকার অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। দালিলিক হিসাব অনুযায়ী সব মিলিয়ে ৯ কোটি ৪৭ লাখ ৬৮ হাজার ৬৬৫ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়।

অন্যদিকে এনায়েত উল্লাহর আয়কর নথি পর্যালোচনায় দেখা যায়, তিনি ২০১৬-২০১৭ করবর্ষে আয়কর নথি খোলেন। সেখানে তিনি ১৯৮৭ সাল থেকে ২০১৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ব্যাংকের চাকুরির বেতনভাতার সঞ্চয় বাবদ ১৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা প্রদর্শন করেছেন। অনুসন্ধানকালে উক্ত আয়সহ ২০২২-২৩ করবর্ষ পর্যন্ত আয়কর রিটার্ন অনুযায়ী তার ৪ কোটি ৮২ লাখ ৭০ হাজার ৭১৯ টাকার আয় পাওয়া যায়।

ওই আয়ের বিপরীতে পারিবারিক ব্যয় ৪০ লাখ ৭২ হাজার ৩৪০ টাকা ও ঋণ পরিশোধ ১ কোটি ৩২ লাখ ৬৯ হাজার ৯০০ টাকাসহ মোট ব্যয় পাওয়া গেছে ১ কোটি ৭৩ লাখ ৪২ হাজার ২৪০টাকা। আয় ছাড়াও তার ৫ কোটি ৫৫ লাখ ৭০ হাজার ৮৭৫ টাকার ঋণ রয়েছে। ওই ঋণসহ তার আয় দাঁড়ায় ১০ কোটি ৩৮ লাখ ৪১ হাজার ৫৯৪ টাকা।  

সার্বিক পর্যালোচনায় স্থাবর ও অস্থাবর মিলিয়ে ৯ কোটি ৪৭ লাখ ৬৮ হাজার ৬৬৫ টাকার সম্পদ এবং পারিবারিক ব্যয় ও ঋণ পরিশোধসহ তার ব্যয় ১ কোটি ৭৩ লাখ ৪২ হাজার ২৪০ টাকা যোগ করলে ১১ কোটি ২১ লাখ ১০ হাজার ৮৯৪ টাকার সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া যায়। যার বিপরীতে ১০ কোটি ৩৮ লাখ ৪১ হাজার ৫৯৪ টাকার সম্পদের বৈধ উৎস পাওয়া গেছে দুদকের অনুসন্ধানে। অর্থাৎ ৮২ লাখ ৬৯ হাজার ৩০০ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত বলে মনে করছে দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা।

সে কারণে তার বিরুদ্ধে দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় মামলা রুজুর সুপারিশ করেছেন অনুসন্ধান কর্মকর্তা উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান। কমিশন থেকে অনুমোদন পাওয়া গেলে মামলা দায়ের করা হবে বলে জানা গেছে।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com