শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
নুরানী বোর্ডের ফল প্রকাশ, পাসের হার ৮৫.২৫ শতাংশ সচিবালয়ে প্রবেশ পাসের বিশেষ সেল গঠন মাশরাফির জন্য অপেক্ষা করবে সিলেট দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট হতেই হবে : এম সাখাওয়াত ট্রাইব্যুনালে প্রধান অভিযুক্তদের বিচার এক বছরের মধ্যে শেষ হবে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের সমালোচনা করলেন মির্জা ফখরুল সিলেটে কোটি টাকার চোরাই পণ্য জব্দ ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন পাঁচ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ৩ বিলিয়ন ডলার: গভর্নর আফগান সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ১৯ পাকিস্তানি সৈন্য নিহত সংস্কারের বিষয়ে সরকার একা সিদ্ধান্ত নেবে না: উপদেষ্টা মাহফুজ সচিবালয়ে আগুন গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ: রিজভী রোববার থেকে দক্ষিণ সিটিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কাজ শুরু মহাখালীতে আবাসিক ভবনে আগুন প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে অভিনেত্রী স্বাগতাকে লিগ্যাল নোটিশ ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে নিহত ৬, সেই বাসচালক গ্রেফতার বিএসএফের বাধার মুখে পড়া মুহুরী নদীর সেই সেচ পাম্প চালু বিএনপি-জামায়াতকে কঠিন হুঁশিয়ারি মামুনুল হকের নিজে নন, শাহিন আফ্রিদির চোখে বাংলাদেশিরাই বড় তারকা লামায় অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা, বেনজীরের কেয়ারটেকারসহ গ্রেপ্তার ৪

১১ কোটি টাকার হিসাবে গরমিল, ফাঁসছেন ব্যাংক কর্মকর্তা

বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা:
  • আপলোড সময় সোমবার, ১১ মার্চ, ২০২৪
  • ২৭ বার পড়া হয়েছে

জনতা ব্যাংক লিমিটেডে কর্মরত মো. এনায়েত উল্লাহ নামের এক সিনিয়র অফিসারের ১১ কোটি ২১ লাখ টাকার হিসাবে গরমিল ধরা পড়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানে।

দালিলিক হিসাব অনুযায়ী স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ও ঋণসহ ওই সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া গেলেও তার বিপরীতে দুদকের অনুসন্ধানে ১০ কোটি ৩৮ লাখ টাকার সম্পদের বৈধ উৎস মিলেছে। অর্থাৎ ৮২ লাখ ৬৯ হাজার টাকার হিসাব দিতে পারেননি ওই ব্যাংক কর্মকর্তা।

যে কারণে এনায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে মামলার সুপারিশ করেছেন অনুসন্ধান কর্মকর্তা উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান। দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

তার স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে ঢাকা সূত্রাপুরে ১৪ শতাংশ জমিতে নির্মিত ভবনে ১৬টি ফ্ল্যাটের মালিকানা, নন্দীপাড়ায় সাড়ে ১৩ শতাংশ জমি, সাতারকুলে ১৪ শতাংশ জমি, পূর্ব বাসাবোতে একটি ফ্ল্যাট, উত্তরখানে ৫ শতাংশ জমি, সিদ্ধেশ্বরী ও বাকুশাহ হকার্স মার্কেটে তিনটি দোকানসহ নিজ এলাকা চাঁদপুরে ৯০ শতাংশ জমির মালিকানা। শুধু তাই নয় ব্যাংক কর্মকর্তা ও তার স্ত্রীর হিসাবে ২০১০ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ১৬ কোটি ৫৪ লাখ টাকার সন্দেহভাজন লেনদেনের তথ্যও মিলেছে।

এ বিষয়ে অনুসন্ধান কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কমিশন নেবে। এ বিষয়ে বক্তব্য দেওয়া সম্ভব নয়, আপনি জনসংযোগ দপ্তরে যোগাযোগ করেন।

অনুসন্ধান প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, মো. এনায়েত উল্লাহ ১৯৮৭ সালের ১ ডিসেম্বর জনতা ব্যাংকের গোডাউন কিপার হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন। ২০১০ সালে অফিসার পদে এবং ২০১৬ সালে সিনিয়র অফিসার হিসেবে পদোন্নতিপ্রাপ্ত হয়ে একই পদে কর্মরত আছেন। তার স্ত্রী হাসিনা বেগম একজন গৃহিণী। তাদের দুইটি সন্তান রয়েছে।

অনুসন্ধানকালে প্রাপ্ত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি মো. এনায়েত উল্লাহর নিজ ও স্ত্রীর নামে সর্বমোট ১ কোটি ১ লাখ ৭৯ হাজার ৫১২ টাকার স্থাবর এবং ৮ কোটি ৪৫ লাখ ৮৯ হাজার ১৪২ টাকার অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। দালিলিক হিসাব অনুযায়ী সব মিলিয়ে ৯ কোটি ৪৭ লাখ ৬৮ হাজার ৬৬৫ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়।

অন্যদিকে এনায়েত উল্লাহর আয়কর নথি পর্যালোচনায় দেখা যায়, তিনি ২০১৬-২০১৭ করবর্ষে আয়কর নথি খোলেন। সেখানে তিনি ১৯৮৭ সাল থেকে ২০১৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ব্যাংকের চাকুরির বেতনভাতার সঞ্চয় বাবদ ১৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা প্রদর্শন করেছেন। অনুসন্ধানকালে উক্ত আয়সহ ২০২২-২৩ করবর্ষ পর্যন্ত আয়কর রিটার্ন অনুযায়ী তার ৪ কোটি ৮২ লাখ ৭০ হাজার ৭১৯ টাকার আয় পাওয়া যায়।

ওই আয়ের বিপরীতে পারিবারিক ব্যয় ৪০ লাখ ৭২ হাজার ৩৪০ টাকা ও ঋণ পরিশোধ ১ কোটি ৩২ লাখ ৬৯ হাজার ৯০০ টাকাসহ মোট ব্যয় পাওয়া গেছে ১ কোটি ৭৩ লাখ ৪২ হাজার ২৪০টাকা। আয় ছাড়াও তার ৫ কোটি ৫৫ লাখ ৭০ হাজার ৮৭৫ টাকার ঋণ রয়েছে। ওই ঋণসহ তার আয় দাঁড়ায় ১০ কোটি ৩৮ লাখ ৪১ হাজার ৫৯৪ টাকা।  

সার্বিক পর্যালোচনায় স্থাবর ও অস্থাবর মিলিয়ে ৯ কোটি ৪৭ লাখ ৬৮ হাজার ৬৬৫ টাকার সম্পদ এবং পারিবারিক ব্যয় ও ঋণ পরিশোধসহ তার ব্যয় ১ কোটি ৭৩ লাখ ৪২ হাজার ২৪০ টাকা যোগ করলে ১১ কোটি ২১ লাখ ১০ হাজার ৮৯৪ টাকার সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া যায়। যার বিপরীতে ১০ কোটি ৩৮ লাখ ৪১ হাজার ৫৯৪ টাকার সম্পদের বৈধ উৎস পাওয়া গেছে দুদকের অনুসন্ধানে। অর্থাৎ ৮২ লাখ ৬৯ হাজার ৩০০ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত বলে মনে করছে দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা।

সে কারণে তার বিরুদ্ধে দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় মামলা রুজুর সুপারিশ করেছেন অনুসন্ধান কর্মকর্তা উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান। কমিশন থেকে অনুমোদন পাওয়া গেলে মামলা দায়ের করা হবে বলে জানা গেছে।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com