বাংলা৭১নিউজ, চট্টগ্রাম: প্রায় ১০ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর চট্টগ্রামের সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
গতকাল বুধবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) ফিরোজ ইফতেখার সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন।
গতকাল পৃথক দুটি ট্রেন দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে একপর্যায়ে চট্টগ্রামের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। সকালে সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট এলাকায় মালবাহী একটি ট্রেনের ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হয়। এরপর এক লাইন দিয়ে ট্রেন চলে।
বিকেলে পাহাড়তলী রেলক্রসিংয়ে ঢাকাগামী মহানগর গোধূলির চারটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এরপর ঢাকা, সিলেটসহ সারা দেশের সঙ্গে চট্টগ্রামের রেল যোগাযোগ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
গতকাল রাত দুইটার দিকে রেল যোগাযোগ চালু হলে বিভিন্ন স্টেশনে আটকে থাকা ট্রেনগুলো গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেয়।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, দুর্ঘটনার কারণে গতকাল বিকেলে চট্টগ্রাম থেকে ময়মনসিংহগামী নাসিরাবাদ এক্সপ্রেসের যাত্রা বাতিল করা হয়। অন্য সব ট্রেন ৩ থেকে ১০ ঘণ্টা বিলম্বে চট্টগ্রাম এসেছে বা চট্টগ্রাম ছেড়েছে।
ঢাকাগামী মেইল ওয়ান আপ রাত সাড়ে ১০টার পরিবর্তে দিবাগত রাত পৌনে তিনটায় চট্টগ্রাম ছেড়েছে। আন্তনগর তূর্ণা নিশিথা রাত ১১টার পরিবর্তে চট্টগ্রাম ছাড়ে আজ ভোর ৫টা ২৫ মিনিটে।
সিলেটগামী জালালাবাদ এক্সপ্রেস সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার পরিবর্তে দিবাগত রাত ৩টা ৫ মিনিটে চট্টগ্রাম স্টেশন ছাড়ে। সিলেটগামী আন্তনগর উদয়ন এক্সপ্রেস চট্টগ্রাম স্টেশন ছাড়ে রাত পৌনে ১০টার পরিবর্তে দিবাগত রাত ২টা ৩৫ মিনিটে।
চাঁদপুরগামী মেঘনা এক্সপ্রেস বিকেল সোয়া পাঁচটার পরিবর্তে চট্টগ্রাম ছাড়ে দিবাগত রাত ২টা ২০ মিনিটে।
ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা আন্তনগর মহানগর প্রভাতী চট্টগ্রামে পৌঁছায় প্রায় ১০ ঘণ্টা বিলম্বে রাতে আড়াইটায়। কর্ণফুলী এক্সপ্রেসও বিলম্ব করে চট্টগ্রামে আসে আজ ভোর ৪টা ২০ মিনিটে।
ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী চট্টলা এক্সপ্রেস প্রায় ৭ ঘণ্টা ৪০ মিনিট বিলম্বে আজ বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ছয়টায় গন্তব্যে আসে। প্রায় ১০ ঘণ্টা দেরিতে ভোর ৫টা ২৫ মিনিটে চাঁদপুর থেকে চট্টগ্রামে আসে সাগরিকা এক্সপ্রেস।
চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের ভাষ্য, আজ সকালে ঢাকাগামী সুবর্ণ এক্সপ্রেস ঠিক সময়ে চট্টগ্রাম ছেড়ে গেছে। তবে অন্য ট্রেনগুলো ছাড়তে কিছুটা দেরি হচ্ছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএম