রাজধানীর দক্ষিণখান ও উত্তরখান মৌজায় ১০০ কোটি টাকার ৭.৮৯২৫ একর সরকারি খাস জমি অবৈধভাবে বালু দিয়ে ভরাট দখল করে ‘আশিয়ান সিটি’ হাউজিং প্রকল্প করা হয়েছে। অবৈধভাবে দখল করে তা হাউজিং প্লট হিসেবে সাধারণ জনগণের কাছে বিক্রিও করা হয়েছে। যে কারণে আশিয়ান ল্যান্ডস ডেভলপমেন্ট লিমিটেড মালিক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (২ মার্চ) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। দুদকের জনসংযোগ দপ্তর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
মামলায় আশিয়ান সিটি হাউজিং প্রকল্পে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট রাজস্ব সার্কেলের আওতাভুক্ত বরুয়া, দক্ষিণখান ও উত্তরখান মৌজায় ৭.৮৯২৫ একর সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত জমি অবৈধভাবে বালু দিয়ে ভরাটের পর দখল করে প্রতারণার মাধ্যমে সাধারণ জনগণের কাছে প্লট আকারে বিক্রির অভিযোগ আনা হয়েছে।
রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, ‘আশিয়ান সিটি’ আবাসিক প্রকল্পে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট রাজস্ব সার্কেলের আওতাভুক্ত বরুয়া, দক্ষিণখান ও উত্তরখান মৌজার দখল করা সরকারি খাস জমি বরুয়া ৪২টি মৌজায় ২.৭০৬২ একর, দক্ষিণখান মৌজায় ৯৭টি দাগে ৪.৯০০৭ একর এবং উত্তরখান মৌজায় ৪টি দাগে ০.২৮৫৬ একর জমিসহ ৩টি মৌজায় মোট ৭.৮৯২৫ একর সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত জমি বালু দিয়ে ভরাট করে অবৈধভাবে দখল করা হয়েছে।
সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত জমি (যার বর্তমান বাজার মূল্য আনুমানিক ১০০ কোটি টাকা) ভরাট করে অবৈধভাবে দখল করে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেট্রনিকস মিডিয়ায় চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে এবং হাউজিং প্লট হিসেবে সাধারণ জনগণের কাছে বিক্রি করা হয়েছে বলে দুদক প্রমাণ পেয়েছে। এই অবস্থায় আশিয়ান ল্যান্ডস ডেভলপমেন্ট লিমিটেড মালিক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪২০ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দুদক।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ