বাংলা৭১নিউজ, রাজশাহী: রাজশাহী মহানগরের সাহেব বাজার এলাকায় আবাসিক একটি হোটেলের কক্ষ থেকে তরুণ-তরুণীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই তরুণ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং তরুণী পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তেন।
আজ শুক্রবার দুপুরে দুজনের লাশ উদ্ধারের পর ওই হোটেলের চার কর্মচারীকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় উদ্ধার করা দুটি পরিচয়পত্র থেকে জানা যায়, তরুণ মিজানুর রহমান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। আর তরুণী সুমাইয়া নাসরিন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী।
নগরের বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন খান বলেন, নাইস ইন্টারন্যাশনাল হোটেলের একটি কক্ষ থেকে তরুণের লাশ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। লাশের হাত বাঁধা ছিল। তরুণীর লাশ বিছানার ওপর শোয়ানো অবস্থায় পাওয়া গেছে। লাশের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
মুখের ওপর বালিশ চাপা দেওয়া ছিল। প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে, এটি আত্মহত্যা নয়। তাঁদের হত্যা করা হয়েছে। লাশ উদ্ধারের সময় পাওয়া দুটি পরিচয়পত্র থেকে তাঁদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। দুজনের পরিবারে ফোন করে খবর দেওয়া হয়েছে। লাশ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নাইস ইন্টারন্যাশনাল হোটেলের ব্যবস্থাপক আবুল কালাম আজাদ বলেন, গত বুধবার রাতে ওই তরুণ-তরুণী নিজেদের স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে হোটেলে ওঠেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে তাঁরা অভ্যর্থনা কক্ষে এসে হোটেলের ভাড়া পরিশোধ করেন। তাঁদের আজ শুক্রবার ভোর পাঁচটায় হোটেল ছেড়ে দেওয়ার কথা ছিল।
পরে দুপুর ১২টার দিকে তাঁদের কক্ষে টেলিফোন করা হলে কেউ ফোন ধরেননি। ফোনে বারবার চেষ্টা করে সাড়া না পেয়ে বোয়ালিয়া থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাঁদের লাশ উদ্ধার করে।
ব্যবস্থাপক জানান, হোটেলের রেজিস্ট্রারে নিহত তরুণের নাম লেখা রয়েছে মিজানুর (২৩), বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার দবিরগঞ্জ। তরুণীর নাম সুমাইয়া নাসরিন (২০)। বাড়ি পাবনার রাধানগর।
বাংলা৭১নিউজ/জিএম