মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ০৫:২৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
সর্বস্তরেই চিকিৎসকদের পদোন্নতি, কাজ করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সড়ক দুর্ঘটনায় শ্রমিক নিহত, সহকর্মীদের বিক্ষোভে রণক্ষেত্র মহাসড়ক ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মুসলিম অধিকার সংস্থার মামলা এপ্রিলে আসছে নতুন আরেকটি রাজনৈতিক দল ‘বিকাশ’-এর ফেসবুক লাইভ থেকে কেনাকাটার সুযোগ ‘রেমিট্যান্সের নামে ৭৩০ কোটি টাকা এনে কর ফাঁকি দিলেন এক করদাতা’ বাংলাদেশি এনজিও টিএমএসএসকে জাপানের ৯১ লাখ টাকা সহায়তা বিয়ে করলেন সমন্বয়ক রাফি আরও ১১৫ উপজেলায় মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র গভীরভাবে উদ্বিগ্ন: তুলসী গ্যাবার্ড গণঅভ্যুত্থানে হামলায় জড়িত ঢাবির ১২৮ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনে নীতিগত অনুমোদন ডিজিটাল নজরদারি আইন ও মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে শিগগিরই রোডম্যাপ চায় বাংলাদেশ মার্কিন সিনেটর গ্যারি পিটার্স ঢাকায় এসেছেন নরসিংদীতে ঘরে ঢুকে ৩ সন্তানের জননীকে ধর্ষণ, হত্যার হুমকি বিএনপিকে ১/১১’র মতো মিডিয়া ট্রায়ালের মুখে ফেলা হচ্ছে: তারেক রহমান ‘পুঁজিবাজারে যত সুবিধাই দেওয়া হয়েছে, মার্কেটে বেনিফিট দেখা যায়নি’ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনীর নীতিগত অনুমোদন এমসি কলেজে ধর্ষণের মামলা চলবে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে

হেলিকপ্টারে মাগুরা যাওয়া প্রসঙ্গে সারজিস ‘সিট খালি ছিল’

বাংলা৭১নিউজ ঢাকা:
  • আপলোড সময় শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫
  • ১৫ বার পড়া হয়েছে

সম্প্রতি ধর্ষণের শিকার হয়ে মারা যাওয়া শিশুটির জানাজায় অংশ নিতে মাগুরা যান জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহসহ কয়েকজন নেতা৷ জানাজায় অংশ নিতে পুলিশের হেলিকপ্টারে মাগুরায় যান তারা। এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশের হেলিকপ্টারে ভ্রমণ করায় সমালোচনা করেন অনেকেই। এ নিয়ে মুখ খুলেছেন সারজিস আলম।

শনিবার (১৫ মার্চ) দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এসব নিয়ে একটি পোস্ট দেন তিনি।

ফেসবুক পোস্টে সারজিস লেখেন, যখন শুনলাম শিশুটি আর নেই তখন সিএমএইচে ছুটে গিয়েছি। সেনাবাহিনী, র্যাব থেকে পরিবারের জন্য বরাদ্দকৃত হেলিকপ্টারে যখনই একাধিক সিট খালি থাকার কথা শুনেছি তখনই মাগুরায় গিয়ে তার জানাজায় অংশগ্রহণ করার ইচ্ছা ব্যক্ত করেছি এবং জানাজা পড়ে আবার ঢাকায় ব্যাক করেছি।

পোস্টের শুরুতে সারজিস লেখেন, চলেন সোজাসাপ্টা কিছু আলাপ করি। ওই যে-যেটা নিয়ে আপনারা আলাপ করছেন সেই ফুটেজ নিয়ে। নৃশংস একটা ঘটনা ঘটলো। আমি আমার জায়গা থেকে সংশ্লিষ্ট পুলিশ প্রশাসনকে জানালাম দ্রুত আসামি গ্রেফতার করার কথা।

 

তিনি লেখেন,আবার-হাইকোর্ট থেকে ঘোষণা আসলো ১৮০ দিনের মধ্যে ধর্ষণের বিচার প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। আমি আমার জায়গা থেকে দায়িত্বশীল একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে আমার মতামত জানালাম। ১৮০ দিন অনেক বেশি হয়ে যায়। এটা ১-২ মাসের মধ্যে করা উচিত। না হলে মানুষের মাথা থেকে ঘটনাটা অনেকটাই মুছে যায় এবং সেই অপরাধের শাস্তি আদতে সমাজে অপরাধ দমনে তেমন প্রভাব রাখতে পারে না।

ব্যাপারটা এমন নয় যে আমি একাই জানিয়েছি কিংবা আমার জানানোর জন্যই গ্রেফতার হয়েছে বা আইন পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু আমার জায়গা থেকে মনে হয়েছে এটা আমার করা উচিত তাই আমি করেছি। তবে সে বিষয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেইনি। এরপর তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হলো।

আমিও ঢাকা মেডিকেলে গেলাম। যখন জানলাম আইসিইউ-তে আছে তখন আর আইসিইউ-তে দেখতে যাইনি। কারণ বাইরে থেকে আইসিইউ-তে দেখতে গেলে ইনফেকশনের সম্ভাবনা থাকে। মেডিকেলের বাইরে থেকে খোঁজখবর নিয়ে চলে এসেছি। ছবি পোস্ট করিনি।

এরপর যখন জরুরি অবস্থায় সিএমএইচ-এ নেওয়া হলো তখন সেদিনই সন্ধ্যায় নাগরিক পার্টির কয়েকজনসহ গিয়েছি। সেখানেও আইসিইউ-তে ছিল। দেখতে যাওয়া সম্পূর্ণ নিষেধ ছিল বলে সিএমএইচ এর সামনে থেকে ডিউটিরত ডাক্তারের সাথে কথা বলে সার্বিক খোঁজখবর নিয়ে বাসায় ফিরেছি। ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেইনি। এরপর আমাদের ছাত্র প্রতিনিধিদের থেকে খোঁজ নিয়েছি।

 

তিনি লেখেন, এই পুরো ঘটনার মধ্যে সর্বশেষ অংশটুকু আমি ফেসবুকে দিয়েছি এবং ফেইসবুকে দেওয়া অংশটুকুকে সামগ্রিক মনে করে মিডিয়া এবং কিছু পাবলিক জাজমেন্ট করা শুরু করলো।

সারজিস লেখেন, তার মানে আমরা যতটুকু সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা গণমাধ্যমে প্রকাশ করি ততটুকুই হচ্ছে বলে আপনারা মনে করেন এবং সেটাকে পুরো ঘটনা ধরে জাজমেন্ট শুরু করে। অর্থাৎ আপনারাও আসলে ফুটেজের দিকেই তাকিয়ে থাকেন । আবার যদি কোনো কিছু না দেই তখন মনে করেন কিছুই করা হয়নি ! কি অদ্ভুত !

সারজিস লেখেন, দিলে বলেন ফুটেজমুখী আর না দিলে বলেন কিছুই করেনি। আপনাদের এই ডাবল স্ট্যান্ডার্ড কবে একটা সিঙ্গেল স্ট্যান্ডার্ডে পরিণত হবে ?

তিনি লেখেন, আবার আরেকটা ঘটনা লক্ষ্য করেন। জানাজা ছিল সন্ধ্যা সাতটায়। আমরা পৌঁছেছি সাড়ে পাঁচটায়। এই দেড় ঘণ্টা একটা ওয়েটিং রুমে অপেক্ষা করেছি। তার মধ্যে কয়েক মিনিট হয়তো ফোনের নোটিফিকেশন চেক করেছি। ঠিক ওই সময়ে কেউ ছবি তুললো এবং কালের কণ্ঠের মতো একাধিক বারের মতো এবারও অপেশাদারত্বের পরিচয় দিয়ে তাদের অনলাইন পোস্টারে সেটা প্রকাশ করলো।

পাশাপাশি এমনভাবে দেখালো যে আমরা মনে হয় পুরো সময় বসে শুধু ফোনের দিকে তাকিয়ে ছিলাম। চাইলেই কিন্তু তারা ওখানে বসে থাকার অন্য সময়ের নরমাল কোনো ছবি ব্যবহার করতে পারতো। কিন্তু কিছু রিয়াকশন বেশি পাওয়ার আশায় সেটা তারা করেনি।

তিনি লেখেন, আচ্ছা নিজের বিবেককে জিজ্ঞাসা করেন- দেড় ঘণ্টা কোথাও বসে থাকলে অন্তত কয়েক মিনিট আপনারা ফোনের নোটিফিকেশন চেক করতেন কি না? যদি করেন তাহলে আপনাদের এই ভিউখোর মনোভাব বন্ধ হবে কবে? কবে পেশাদারত্বের পরিচয় দেওয়া শুরু করবেন ?

সারজিস বলেন, শুনেন, ঘরে বসে থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় জাজমেন্টের বড় বড় এনালাইসিস কপচানো যায়। কিন্তু যাদেরকে আপনারা সুযোগ পেলেই নানা বিশেষণে বিশেষায়িত করেন- যেকোনো ফরমেটে, যেকোনো সীমাবদ্ধতা নিয়েই হোক না কেন; দিনশেষে তারাই মাঠে দৌড়ায়।

তিনি বলেন, এরপর থেকে অনলাইনে এসব এনালাইসিস দেওয়ার আগে অফলাইনে আমাদের জন্য অনুগ্রহ করে কিছু দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন। আমরা আপনার ভালো কাজগুলো অনুসরণ করার অপেক্ষায় থাকবো।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com