বাংলা সাহিত্যের জননন্দিত লেখক হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন আজ। ১৯৭২ সালে প্রকাশিত প্রথম উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’ দিয়েই হুমায়ূন আহমেদ কথাসাহিত্যে পালাবদলের তাৎপর্যপূর্ণ ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।
একের পর এক জনপ্রিয় উপন্যাস রচনা করে গেছেন। তাঁর বিভিন্ন উপন্যাসে জনপ্রিয় হয়ে যাওয়া উক্তিগুলো পাঠকদের উদ্দেশে তুলে ধরা হলো :
০১-জীবনে কখনো কাউকে বিশ্বাস করতে যেও না, কারণ যাকেই তুমি বিশ্বাস করবে সে-ই তোমাকে ঠকাবে।
০২-ভালোবাসা একটা পাখি। যখন খাঁচায় থাকে তখন মানুষ তাকে মুক্ত করে দিতে চায়। আর যখন খোলা আকাশে তাকে ডানা ঝাপটাতে দেখে তখন খাঁচায় বন্দি করতে চায়।
০৩-সঠিক সিদ্ধান্তের ক্ষমতা আছে শুধুই আল্লাহ পাকের। মানুষকে মাঝে মাঝে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রমাণ করতে হয় যে সে মানুষ।
০৪-দুঃসময়ে কোনো অপমান গায়ে মাখতে হয় না।
০৫-মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষগুলোই পৃথিবীর আসল রূপ দেখতে পায়।
০৬-কান্নার সঙ্গে তো সমুদ্রের খুব মিল আছে। সমুদ্রের জল নোনা। চোখের জল নোনা। সমুদ্রে ঢেউ ওঠে। কান্নাও আসে ঢেউয়ের মতো। যুদ্ধ এবং প্রেমে কোনো কিছু পরিকল্পনামতো হয় না।
০৭-যে জিনিস চোখের সামনে থাকে তাকে আমরা ভুলে যাই। যে ভালোবাসা সব সময় আমাদের ঘিরে রাখে। তার কথা আমাদের মনে থাকে না…. মনে থাকে হঠাৎ আসা ভালোবাসার কথা।
০৮-কল্পনাশক্তি আছে বলেই সে মিথ্যা বলতে পারে। যে মানুষ মিথ্যা বলতে পারে না, সে সৃষ্টিশীল মানুষ না, রোবট টাইপ মানুষ।
০৯-পৃথিবীর সব মেয়ের ভেতর অলৌকিক একটা ক্ষমতা থাকে। কোনো পুরুষ তার প্রেমে পড়লে মেয়ে সঙ্গে সঙ্গে তা বুঝতে পারে। এই ক্ষমতা পুরুষদের নেই। তাদের কানের কাছে মুখ নিয়ে কোনো মেয়ে যদি বলে- ‘শোন আমার প্রচণ্ড কষ্ট হচ্ছে। আমি মরে যাচ্ছি। ’ তার পরেও পুরুষ মানুষ বোঝে না। সে ভাবে মেয়েটা বোধ হয় এপেন্ডিসাইটিসের ব্যথায় মরে যাচ্ছে!’
১০-কাজল ছাড়া মেয়ে দুধ ছাড়া চায়ের মতো।
১১- পৃথিবীতে সব নারীর ডাক উপেক্ষা করা যায়, কিন্তু ‘মা’-এর ডাক উপেক্ষা করার ক্ষমতা প্রকৃতি আমাদের দেয়নি।
১২-যে নারীকে ঘুমন্ত অবস্থায় সুন্দর দেখায় সে-ই প্রকৃত রূপবতী।
১৩-যা পাওয়া যায়নি, তার প্রতি আমাদের আগ্রহের সীমা থাকে না। মেঘ আমরা স্পর্শ করতে পারি না বলেই মেঘের প্রতি আমাদের মমতার সীমা নেই।
১৪-মানুষের কষ্ট দেখাও কষ্টের কাজ
১৫-মেয়েদের আসল পরীক্ষা হচ্ছে সংসার, ঐ পরীক্ষায় পাস করতে পারলে সব পাস!
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ