বাংলা৭১নিউজ,হিলি(দিনাজপুর)প্রতিনিধি: দীর্ঘ ৬ মাস পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকার পর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ১৯ টি পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করেছে। নানা জটিলতা শেষে আজ রবিবার বিকেল পৌনে ৪ টায় পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করতে শুরু করে। ব্যবসায়ীরা বলছেন ১৯ ট্রাকে ৪২৮ মেট্রিক টন পেঁয়াজ হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দেশে এসেছে। প্রতিকেজি পেয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২২ থেকে ২৩ টাকায়। পেঁয়াজ আমদানির কথা শুনে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকাররা পেয়াঁজকিনতে আসতে শুরু করেছে।
অপরদিকে পেঁয়াজের আড়ৎগুলো ফিরে আসতে শুরু করেছে প্রাঞ্চলতা। গেলো বছর ২৮ ই সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ সংকট দেখিয়ে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় ভারত সরকার। যার ফলে আটকে যায় হাজার হাজার টন পেঁয়াজের এলসি। এতে ক্ষতির মুখে পড়তে হয় স্থানীয় পেঁয়াজ আমদানিকারক ব্যবসায়ীদের। ভারত সরকার ২৬ ফেব্রুয়ারি পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর ২৫ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি চেয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রে আবেদন করেন হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারকরা। এর মধ্যে ৮ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়। অনুমতি পাওয়া পেয়াঁজ গুলো বন্দর দিয়ে প্রবেশ করতে শুরু করেছে।
হিলি বন্দরের আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুনুর রশিদ হারুন বলেন, ২৫০ মাকিন ডলারে ভারত থেকে পেয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। পেয়াজ আমদানির ফলে কমতে শুরু করেছে বাজারে পেয়াজের দাম এখন প্রতিকেজি পেয়াজ ২২ থেকে ২৩ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও এক সপ্তাহের মধ্যে আরও দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে। হিলি অগ্রনী ব্যাংক ম্যানেজার আফতাবুজ্জামান বলেন তার ব্যাংক থেকেও খান ট্রেডাস ২৫০ মাকিন ডলারে পেয়াজের এলসি করেছে। হিলির খুচরা বিক্রেতা আনোয়ার হোসেন জানায়, পেয়াজের বাজার মনিটরিং না করা হলে আমমদানিকারকরা বেশি দামে বিক্রি করলে তাদেররকেও বেশি দামে খুচরা বাজারে বিক্রি করতে হবে। তাই তারা স্থানীয় প্রশাসনের নজররদারীর দাবি করেন।
বাংলা৭১নিউজ/জেএইচ