সরবরাহ কম থাকায় দু’দিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা। নতুন পেঁয়াজ না উঠা পর্যন্ত দাম কমার কোন সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। অপরদিকে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকলেও দেশের বাজারে দাম বাড়ায় নতুন করে আমদানির চিন্তা করছেন তারা।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা মিনহাজুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান জানান, দু’দিন আগে আমরা পেঁয়াজ কিনেছি ২০ থেকে ২২ টাকা কেজি দরে। আজ পেঁয়াজ কিনতে এসে দাম শুনে তো আমরা চমকে গিয়েছি। এখন ৩০ থেকে ৩২ টাকা দাম চাচ্ছে। এভাবে যদি পেঁয়াজের দাম বাড়ে তাহলে আমরা গরীব মানুষ কিভাবে পেঁয়াজ কিনবো।
হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা ফিরোজ হোসেন ও শাকিল খান বলেন, পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মুড়িকাটা পেঁয়াজের সরবরাহ বেশ ছিল, যার কারণে বাজারে ভারতের পেঁয়াজ না থাকলেও দাম কম ছিল। কিন্তু বর্তমানে মুড়িকাটা পেঁয়াজের মৌসুম শেষ হয়ে যাওয়ায় সরবরাহ কম, তাই পেঁয়াজের দাম বেশি। যে পেঁয়াজ ১ হাজার ৫০ টাকা মণ ছিল সেটি হঠাৎ করে দাম বেড়ে ১ হাজার ২শ’ থেকে ৩শ’ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। এর ফলে দুদিন আগে আমরা পেঁয়াজ বিক্রি করেছি ২০ থেকে ২২ টাকা কেজি দরে আজকে সেই পেঁয়াজ বিক্রি করছি ৩০ থেকে ৩২ টাকা কেজি দরে।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক মাহফুজার রহমান বাবু বলেন, নিষেধাঙ্গা প্রত্যাহারের পর ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরুর পর থেকে আমরা কিছু পেঁয়াজ আমদানি করি। কিন্তু দেশীয় পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়ার কারণে ভারতীয় পেঁয়াজের দেশের বাজারে চাহিদা না থাকার কারণে লোকশান গুণতে হয়েছে। এর উপর পেঁয়াজ আমদানিতে শুল্ক আরোপ করার কারণে আমদানি করে আমরা লাভ করতে পারছিনা, আমাদের পুঁজি হারিয়ে যাচ্ছে। তবে সম্প্রতি দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ কমে আসায় আবারও ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির চিন্তা-ভাবনা করছি।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জেনেছি ভারতের চেয়ে বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম কম থাকার কারণে আমদানি বন্ধ রেখেছেন। তবে আগামী কিছুদিন পরে দেশের বাজারে পেঁয়াজের চাহিদা বাড়তে পারে সেক্ষেত্রে তারা আবারও পেঁয়াজ আমদানি করবেন বলে জানিয়েছেন।
বাংলা৭১নিউজ/এমএস