বাংলা৭১নিউজ, এম.নাজিম উদ্দিন,পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর বাউফলে শীতের তীব্রতা আরো বেড়েছে হতদরিদ্র মানুষের অবস্থা শোচনীয়। উপজেলার উপকূলীয় চরাঞ্চলে কনকনে শীতে কাঁপছে প্রায় অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। গত কয়েক দিনের টানা শৈত্যপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গরম কাপড়ের অভাবে দুস্থ ও ছিন্নমূল মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। খেটে খাওয়া মানুষগুলোর বিশেষ করে কৃষকরাও পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। উপজেলার চরাঞ্চলসহ উপকূলবর্তী এলাকার অভাবী মানুষরা খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। এসময় শীতার্ত মানুষের পাশে বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান সরকারি কম্বল নিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন। কখনও হাসপাতালে,কখনও লঞ্চঘাট,আবার কখনও পল্লিঅঞ্চলে মানুষের দাড়ে দাড়ে সরকারি কম্বল নিয়ে ছুটে চলছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। এটা যেন তার প্রতিদিন রাতের কাজ। তার পরেও উপকূলীয় চর মিয়জান,চর বাসুদেব, চরওর্য়াডেল, চর আমরখালী, চর মোমিনপুর চর দ্বিয়ারাকচুয়া, চর রায়সাহাব,চর শাহজালালসহ প্রায় ১৩টি চরে তীব্র শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ঘন কুয়াশা, হিমেল হাওয়া আর হাড় কাঁপানো শীতে ভোগান্তিতে পড়েছেন এসব এলাকার হতদরিদ্র লোকজন। সহায়-সম্বলহীন মানুষ শীতে অনেকটা অসহায়ও হয়ে পড়েছেন। গরম কাপড়ের অভাবে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছে। শীতের প্রকোপে হাসপাতালে অ্যাজমা, নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। গত তিন দিন দুপুরের দিকে কুয়াশা একটু কমে এলেও সন্ধ্যা নামার পরপরই আবারও একই অবস্থায় পরিণত হচ্ছে। অনেকেই গায়ে কাঁথা জড়িয়ে ও খড়কুটার আগুন জ্বালিয়ে সকাল-সন্ধ্যায় শীত নিবারণ চেষ্টা করছেন। শীতের তীব্রতায় বৃদ্ধ ও শিশুরা বেশি কাবু হয়ে পড়েছেন। ক্ষেত মজুর ও জেলে শ্রমিকদের কাজে বেরহতে দেখা যায়নি। দাসপাড়া গ্রামের ক্ষেতমজুর বাবলু খান জানায়, ‘আসরের পরেই ঘরে ফিরতে হয়। শীতের তীব্রতায় সন্ধ্যার পরে ঘর থেকে বেরহওয়া যাচ্ছে না। সকাল-সন্ধ্যা খর-কুডা জ্বালাইয়া শীত নিবারণ করতে হয়। হতদরিদ্র লোকজনের অবস্থা চরম শোচনীয় হয়েছে।’
এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান বলেন, বাউফলে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ার ফলে হতদরিদ্র মানুষের অবস্থা শোচনীয় হয়ে উঠেছে। উপজেলার উপকূলীয় চরাঞ্চলে কনকনে শীতে কাঁপছে প্রায় অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। যথারিতি শীতবস্ত্র নিয়ে তাদের পার্শে দাড়াবার চেষ্টা করছি, সরকারি কম্বল পর্যাপ্ত পরিমানে আসছে দু’একদিনের মধ্যেই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের কাছে কম্বল পৌছিয়ে দেয়া হবে। শীতার্ত মানুষের পাশে দাড়াবার জন্য সমাজে বৃত্তবানদের প্রতি আহবান জানান তিনি।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস