দেশের অর্থনীতির বর্তমান চিত্র এবং গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ শাসনামলের দুর্নীতির বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা পেতে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি গঠন করেছিল অন্তর্বর্তী সরকার। সে কমিটির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে হাসিনা সরকারের আমলে দুর্নীতি আর যথেচ্ছাচারের ভয়াবহ চিত্র।
দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। একইসঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকারের লোপাটকৃত অর্থ দ্রুত ফেরানোর বিষয়েও তাগিদ দিয়েছেন তিনি।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) সামাজিক মাধ্যমে করা এক পোস্টে তারেক রহমান বলেছেন, ‘শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রতিবেদনে হাসিনা সরকারের আমলে অভূতপূর্ব দুর্নীতির চিত্র উঠে এসেছে, এতে দেশের অর্থনীতির দৈন্যদশা ফুটে উঠেছে। হাসিনা সরকার যে চোরতন্ত্র কায়েম করেছিল, এই প্রতিবেদনে সেটাই পরিষ্কার হয়েছে।’
শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রতিবেদনে উঠে আসা গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য উল্লেখ করে বিএনপির শীর্ষ নেতা লিখেছেন, ‘গত ১৫ বছরে প্রায় ২৪০ বিলিয়ন ডলার পাচার করা হয়েছে। ২৯টি বড় মাপের উন্নয়ন প্রকল্পের নামে ৮ বিলিয়ন ডলার লোপাট করা হয়েছে। কুইক রেন্টাল প্রকল্প-যেগুলোকে অবকাঠামোগত সমস্যার সমাধান হিসেবে তুলে উপস্থাপন করা হয়েছিল, সেসব আসলে জনগণকে জিম্মি করে দ্রুত পকেট ভারী করার পন্থা ছাড়া কিছুই না।’
পোস্টে রাষ্ট্র সংস্কারে বিএনপির ৩১ দফার কথা তুলে ধরে তারেক রহমান বলেছেন, সংস্কার প্রস্তাবের ১৩তম দফায় কার্যকরী দুর্নীতি দমন কমিশন গঠনের কথা বলা হয়েছে। এটা করা গেলে জনগণের অর্থের যথেচ্ছ ব্যবহার ঠেকানোর পাশাপাশি জবাবদিহিতাও তৈরি হবে।
এছাড়া দেশের অর্থনীতির সব ব্যাধি সারিয়ে তুলতে বিএনপির সংস্কার প্রস্তাবের ১৫তম দফার কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। সে দফায় বিএনপি অর্থনৈতিক সংস্কার কমিশন গঠনের কথা বলেছে। অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা আনতে এবং দুর্নীতি রুখতে এই কমিশন কার্যকরী ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন তিনি।
এদিকে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রতিবেদনে উঠে আসা তথ্যের ভিত্তিতে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারেক রহমান। দ্রুত লোপাটকৃত অর্থ উদ্ধার করে দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার তাগিদ দিয়েছেন তিনি।
বাংলা৭১নিউজ/এসএস