সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক বাচিকশিল্পী হাসান আরিফকে ফুলেল শ্রদ্ধায় শেষ বিদায় জানিয়েছেন তাঁর সহযোদ্ধা, রাজনৈতিক নেতাকর্মী, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।
শনিবার বেলায় ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আনা হয় হাসান আরিফের মরদেহ। দুপুর ১টা পর্যন্ত তার কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন চলে।
হাসান আরিফের মরদেহে শহীদ মিনারে শেষ শ্রদ্ধা জানান তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, ডিআরইউর সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু প্রমুখ।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তাঁরা হাসান আরিফের সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক লড়াইয়ের কথা স্মরণ করেন। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে গিয়ে তার সহযোগী সংস্কৃতিকর্মীদের অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি নাসির উদ্দিন ইউসুফ হাসান আরিফের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন ও সাংস্কৃতিক জীবনে তার অবদানের কথা গণমাধ্যমের কাছে বিশেষভাবে উল্লেখ করেন।
শ্রদ্ধাজ্ঞাপন শেষে হাসান আরিফের কফিন নিয়ে দুপুর ১টায় শোক র্যালি বের হয়। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে তার জানাজা হয়।
হাসান আরিফসের শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে তার মরদেহ তুলে দেওয়ার কথা রয়েছে।
গত ডিসেম্বরে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে নানারকম শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন হাসান আরিফ। চারমাস অসুস্থ থাকার পর গতকাল বেলা ১টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বাংলাদেশ বিশেষায়িত হাসপাতালে তিনি মারা যান।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ