উপমহাদেশের প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
হাসান আজিজুল হক ১৯৩৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি বর্তমান ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার যবগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাই তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া পড়েছে পশ্চিমবঙ্গেও। গভীর শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী
এক শোকবার্তায় মমতা বলেন, ‘তার প্রয়াণে সাহিত্য জগতে এক অপূরণীয় ক্ষতি হল। আমি হাসান আজিজুল হকের আত্মীয় পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।’
বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগে সোমবার রাত সোয়া ৯টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন এলাকা বিহাসে নিজের বাড়িতে মারা যান হাসান আজিজুল হক।
তিনি এক ছেলে ও তিন মেয়ে রেখে গেছেন। স্ত্রী শামসুন্নাহার কয়েক বছর আগে প্রয়াত হন।
কিছু দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন হাসান আজিজুল হক। বাথরুমে পড়ে কোমরে ব্যথা পাওয়ার পর বছরের মাঝামাঝি থেকে শয্যাশায়ী ছিলেন। নিউমোনিয়া ও হার্টের সমস্যা দেখা দিলে গত আগস্ট মাসে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় এনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাকে।
প্রায় তিন সপ্তাহ চিকিৎসা শেষে অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে ৯ সেপ্টেম্বর তাকে রাজশাহীতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। সেখানে বাসায় রেখেই তার চিকিৎসা চলছিল। সোমবার রাতে না ফেরার দেশে চলে যান এই কথাসাহিত্যিক।
সাহিত্যে অবদানের জন্য হাসান আজিজুল হক ১৯৬৭ সালে আদমজী সাহিত্য পুরস্কার এবং ১৯৭০ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পান। এরপর লেখক শিবির পুরস্কার, অলক্ত সাহিত্য পুরস্কার, আলাওল সাহিত্য পুরস্কার, অগ্রণী ব্যাংক সাহিত্য পুরস্কার, ফিলিপস সাহিত্য পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার-সম্মাননা পান তিনি।
১৯৯৯ সালে তাকে ‘একুশে পদকে’ ভূষিত করে সরকার। ২০১৯ সালে পান দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা স্বাধীনতা পুরস্কার।
বাংলা৭১নিউজ/এসএম