রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৯:৫৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
যে সময় কেউ সাহস করেনি, তখন ৩১ দফা দিয়েছিল বিএনপি : তারেক রহমান বাংলাদেশি হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিতে আমি গর্ববোধ করি নাইজেরিয়ায় বাস-জ্বালানি ট্যাঙ্কারের সংঘর্ষে নিহত ১৪ এক সপ্তাহে ১০ হাজারের বেশি প্রবাসীকে ফেরত পাঠালো সৌদি ইসলামী ব্যাংক বরিশাল জোনের এজেন্ট ব্যাংকিং সম্মেলন অনুষ্ঠিত বুড়িমারী স্থলবন্দর ২২ দিন বন্ধ থাকার পর পাথর আমদানি শুরু পূবালী ব্যাংকের বার্ষিক ব্যবস্থাপক সম্মেলন অনুষ্ঠিত সোনারগাঁয়ে এসি বিস্ফোরণে নিহত ২ বেস্ট রেটেড ব্যাংক অ্যাওয়ার্ড অর্জন শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে ২৪১ রানে গুটিয়ে গেল পাকিস্তান ফেব্রুয়ারির প্রথম ২২ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৯২ কোটি ডলার সারাদেশে অপারেশন ডেভিল হান্টে গ্রেফতার ৫৮৫ দারিদ্র্য দূরীকরণে যাকাতের বিকল্প নেই : ধর্ম উপদেষ্টা নির্বাচনকে যারা পিছিয়ে নিতে চায় তাদের ওপর জঙ্গিভূত ভর করেছে পোশাক খাতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানোর তাগিদ পঞ্চম বিয়ে করায় স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা, চতুর্থ স্ত্রী গ্রেফতার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের সিলেটে কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ ‘উপদেষ্টা কিংবা সদস্য হইনি বরং দায়িত্ব নিয়েছি’ বাংলাদেশে ২৯ মিলিয়ন ডলার গেছে ‘উগ্র বাম কমিউনিস্টদের’ ভোটের জন্য

হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ নির্দেশ দেন হাসিনা

বাংলা৭১নিউজ ঢাকা:
  • আপলোড সময় রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৬ বার পড়া হয়েছে

স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার কিছুদিন আগে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের দেখতে গিয়ে চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ নির্দেশ দিয়েছিলেন স্বৈরাচার শেখ হাসিনা। যার প্রমাণ প্রসিকিউশনের হাতে এসেছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম।

আজ রবিবার আদালতে পূর্বনির্ধারিত বিষয়ে শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন অফিসের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের এ কথা জানান তিনি।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘আমরা রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর) বা পঙ্গু হাসপাতালে যখন পরিদর্শনে গিয়েছিলাম তখন সেখানে চিকিৎসারত আহত রোগী ও তাদের স্বজনরা আমাদের জানিয়েছিলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার আগে একবার হাসপাতাল পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে বলেছিলেন, ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’। অর্থাৎ কর্তব্যরত চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে আহতদের কোন চিকিৎসা না দিতে এবং কাউকে এখান থেকে বাইরে না যেতে দিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল।’

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘রোগীদের পাশাপাশি এই নির্দেশাবলীর কথা সেখানকার ডাক্তাররাও আমাদেরকে জানিয়েছেন। এর তথ্য প্রমাণাদি আমাদের হাতে আছে, আমরা সেটাই আজ আদালতকে জানিয়েছি।’

এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান চলাকালে আমাদের সে সকল সন্তানরা শহীদ হয়েছেন, তাদের মৃতদেহ প্রশাসনের নির্দেশে সুরতহাল করতে দেয়া হয়নি, কাউকে কাউকে ডেথ সার্টিফিকেটও দেয়া হয়নি।

এমনকি গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে যাওয়ার পর যারা সেখানেই শহীদ হয়েছেন তাদের ডেথ সার্টিফিকেটে গুলিতে মারা গেছে- এই কথাটিও লিখতে দেয়া হয়নি। শ্বাসকষ্ট কিংবা জ্বরে মারা গেছে এ ধরনের কথা লিখতে বাধ্য করা হয়েছে। আন্দোলনে শহীদের লাশ দাফন করতে যাচ্ছে জানতে পারলে রাস্তায় পুলিশ তাদের পরিবারের ওপর হামলা-আক্রমণ করেছে।’

তিনি বলেন, ‘আদালত আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন, যে শহীদদের সুরতহাল প্রতিবেদন বা পোস্টমর্টেম রিপোর্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষ্য এবং কেন সেগুলো নেই। আমরা আদালতকে জানিয়েছি যে সেই মুহূর্তে মানবতা বিরোধী অপরাধের মাত্রা এতটাই ভয়াবহ ছিল যে, দ্রুত শহীদদের লাশ দাফন করতে বাধ্য করা হয়েছে।

তাই এ কারণে তাদের কোন পোস্টমর্টেম রিপোর্ট দেয়া হয়নি। ঘটনাটি কোন স্বাভাবিক বিষয় নয় বরং তা মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি জাজ্জ্বল্যমান প্রমাণ। এটিই প্রমাণ করে কি ধরনের নিষ্ঠুরতার সাথে জুলাই-আগস্টে হত্যাকাণ্ডগুলো চালানো হয়েছিল।’

স্বৈরাচার শেখ হাসিনার এমন নির্মমতার প্রমাণসমূহ যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে যাচাই-বাছাই ও ফরেনসিক করার পর গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী মামলার প্রমাণের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে আদালতের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com