রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
কথা দিচ্ছি, সুযোগ দিলে সংস্কার শেষে কাঙ্ক্ষিত নির্বাচন দেব ঢামেক হাসপাতাল থেকে ফের ‘ভুয়া নারী চিকিৎসক’ আটক ৯০ নারী উদ্যোক্তা নিয়ে মার্কিন দূতাবাসের এডব্লিউই সমাপনী সহকারী শিক্ষকদের দশম গ্রেড বাস্তবসম্মত নয়: গণশিক্ষা উপদেষ্টা ময়মনসিংহে স্বামী হত্যায় পরকীয়া প্রেমিকসহ স্ত্রীর মৃত্যুদণ্ড দুই বছর পর বেনাপোল দিয়ে চাল আমদানি শুরু সুনামগঞ্জে প্রধান শিক্ষক অপসারণকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ৪০ প্রয়োজনের চেয়ে একদিনও বেশি থাকতে চাই না: ফরিদা আখতার দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকবেন নকলনবিশরা সাবেক মন্ত্রী মায়ার বাড়িতে দুর্বৃত্তের আগুন সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস রোহিঙ্গাদের জন্য আরও এক কোটি পাউন্ড ঘোষণা যুক্তরাজ্যের ১০০ দিনে ৮৬২৭৭ জনের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে সরকার ইতিহাসে অবিস্মরণীয় নাম মাওলানা ভাসানী: তারেক রহমান মওলানা ভাসানী দেশের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে গেছেন: রাষ্ট্রপতি মওলানা ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ গাজীপুরে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, নারীসহ দগ্ধ ৪ তেল সংস্থার সিইও ক্রিস রাইটকে জ্বালানিমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিলেন ট্রাম্প আবারো সড়ক অবরোধে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকরা লটারি নয়, পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তির দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ

হাসপাতাল থেকে ভোট পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন খালেদা জিয়া

বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা:
  • আপলোড সময় রবিবার, ৭ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ১৮ বার পড়া হয়েছে

প্রায় ৬ মাস ধরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থতি পর্যবেক্ষণ করছেন। গণমাধ্যমে চোখ রাখার পাশাপাশি ব্যক্তিগত চিকিৎসক এবং পরিবারের সদস্যদের থেকেও তিনি বিভিন্ন বিষয়ে অবগত হচ্ছেন।

দলটির বিভিন্ন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে, বেগম খালেদা জিয়া রাজনৈতিক বিষয় কোনো মন্তব্য করেন না। চিকিৎসক দলের সদস্য ও পরিবারের সদস্য ছাড়া কারও সঙ্গে হাসপাতালে তিনি দেখা করেন না। চিকিৎসকদের পরামর্শের বাইের যাওয়ার সুযোগ নেই তার। দোয়া-দরুদ ও নামাজ পড়ছেন। এর মধ্যেই তিনি দেশ রাজনীতির সার্বিক বিষয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছেন।

বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবীর খান বলেন, ম্যাডাম ২০২২ সালের ৯ আগস্ট থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গতকাল রাতে আমি খোঁজ নিয়েছি। বাসায় নেওয়ার মতো পরিস্থিতি নেই বলে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পরিবারের সদস্য, চিকিৎসক ছাড়া তার কারো সঙ্গে কথা বলা অত্যন্ত কঠিন। তিনি টেলিভিশন দেখছেন, পত্রিকার মাধ্যমে সার্বিক পরিস্থিতির খোঁজ রাখছেন।

জানা গেছে, প্রায় ৭৯ বছর বয়স খালেদা জিয়ার। ২০১৮ সালে কারাবন্দির পর তার শারীরিক অসুস্থতা ও শারীরিক জটিলতা বেশ কয়েকবার বেড়েছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি, লিভার সিরোসিসসহ নানা রোগে ভুগছেন। বিএনপির পক্ষ থেকে বহুবার উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হচ্ছে, খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ।

তার শারীরিক জটিলতা বেড়েছে। এজন্য তাকে অনতিবিলম্বে বিশ্বের অন্য কোনো দেশে উন্নত চিকিৎসাকেন্দ্রে চিকিৎসা দিতে হবে। এ বিষয়ে চিকিৎসক, বিএনপি ও পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে দীর্ঘদিন ধরে অনেকবার দাবি জানানো হয়েছে।

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের প্রকৃত অবস্থা না জানার কারণে বিএনপির নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষও রয়েছেন ধোঁয়াশায়। তার অসুস্থতার খবর ছড়িয়ে পড়লেই দেশে-বিদেশে প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠানও করা হয়।

গত বছরের অক্টোবরে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা এবং অবিলম্বে মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে দোয়া মাহফিল, লিফলেট বিতরণ এবং মহানগর ও জেলা পর্যায়ে পদযাত্রা করে বিএনপি। তাকে মুক্তি দিতে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার, অ্যামনেস্টিসহ বিভিন্ন সংগঠন বিভিন্ন সময়ে আহ্বান জানানো হয়।

উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে তার পরিবার থেকে সরকারের কাছে আবেদন করা হলেও অনুমতি মেলেনি। এমন পরিস্থিতিতে গত ২৭ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এনে ঢাকায় এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার রক্তনালিতে বিশেষ অস্ত্রোপচার (টিপস) করা হয়। ২০২২ সালের জুনে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। একটিতে রিং পরানো হয়।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির মামলায় আদালত সাজা দিলে ওই দিনই খালেদা জিয়া কারাবন্দি হন। করোনা মহামারি শুরুর পর পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তাকে নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে চিকিৎসার ছয় মাসের সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার।

এরপর থেকে তার পরিবারের আবেদনে দণ্ডাদেশ স্থগিতের মেয়াদ ছয় মাস করে বাড়ানো হচ্ছে। তিনি গুলশানের ভাড়া বাসায় অবস্থান করেন। চিকিৎসার জন্য তার পরিবারের সদস্যরা তাকে দেশের বাইরে নিতে চাইলেও সে অনুমতি মেলেনি।

খালেদা জিয়া ১৯৮২ সালের ৩ জানুয়ারি বিএনপিতে যোগ দেন। ১৯৮৩ সালের মার্চ মাসে তিনি বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান হন। বিচারপতি সাত্তার অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৮৪ সালের ১০ মে পার্টির চেয়ারপারসন নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে অদ্যাবধি তিনি এ দায়িত্ব পালন করছেন।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com