গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় অভিনেতা প্রবীর মিত্রকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গত ২২ ডিসেম্বর ফুসফুসের সমস্যা, অক্সিজেন স্বল্পতাসহ বেশ কিছু কারণে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয় বলে জানিয়েছেন প্রবীর মিত্রের ছেলে মিথুন মিত্র।
তবে প্রবীর মিত্রের শারীরিক অবস্থা ভালো নয় বলে জানিয়েছেন মিথুন। তিনি বলেন, ‘বাবা ভালো নেই।
পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তার ফুসফুসের সমস্যা ধরা পড়েছে। বর্তমানে অক্সিজেনের সঙ্গে ইন্টারনাল ব্লিডিং হচ্ছে। সেই সঙ্গে প্লাটিলেটও কমে গেছে।’তিনি বলেন, ‘তেমন কোনো অগ্রগতি নেই।
খারাপ অবস্থার দিকে যাচ্ছে। তবে চিকিৎসকরা তাদের সাধ্যমতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।’১৯৬৯ সালে প্রয়াত এইচ আকবরের ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য প্রথম প্রবীর মিত্র ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান। চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায় ১৯৭১ সালের ১ জানুয়ারি।
ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে প্রবীর মিত্র ‘নায়ক’ হিসেবে কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। এরপর চরিত্রাভিনেতা হিসেবে কাজ করেও তিনি পেয়েছেন দর্শকপ্রিয়তা।‘তিতাস একটি নদীর নাম’, ‘জীবন তৃষ্ণা’, ‘সেয়ানা’, ‘জালিয়াত’, ‘ফরিয়াদ’, ‘রক্ত শপথ’, ‘চরিত্রহীন’, ‘জয় পরাজয়’, ‘অঙ্গার’, ‘মিন্টু আমার নাম’, ‘ফকির মজনু শাহ’, ‘মধুমিতা’, ‘অশান্ত ঢেউ’, ‘অলংকার’, ‘অনুরাগ’, ‘প্রতিজ্ঞা’, ‘তরুলতা’, ‘গাঁয়ের ছেলে’, ‘পুত্রবধূ’সহ চার শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।
১৯৮২ সালে তিনি বড় ভাল লোক ছিল চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৮ সালে আজীবন সম্মাননা বিভাগে তাকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান করা হয়।
প্রবীর মিত্রের জন্ম চাঁদপুরে। পুরান ঢাকার স্থায়ী বাসিন্দা তিনি। পুরো নাম প্রবীর কুমার মিত্র। তিনি প্রথম জীবনে সেন্ট গ্রেগরি থেকে পোগজ স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে জগন্নাথ কলেজ (বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। প্রবীর মিত্রের স্ত্রী অজন্তা মিত্র ২০০০ সালে মারা গেছেন। তার এক মেয়ে ও তিন ছেলে। ছোট ছেলে ২০১২ সালে ৭ মে মারা গেছেন।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ