বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ০৪:৫৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
নতুন ঠিকানায় পূবালী ব্যাংকের ঢাকা স্টেডিয়াম শাখা মেডিক্যাল কলেজে পড়াশোনার মান বাড়াতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইকো-ট্যুরিজম সম্প্রসারণে একযোগে কাজ করবে বাংলাদেশ ও মালদ্বীপ সালিশদারকে হত্যার ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১০ জনের যাবজ্জীবন গঙ্গা-তিস্তা নিয়ে ভারত সরকারকে প্রশ্ন করার পরামর্শ মন্ত্রীর পুলিশ কর্মকর্তাদের সম্পদের তদন্ত চলছে: আইজিপি পাকিস্তানে শিশুসহ একই পরিবারের ৯ জনকে গুলি করে হত্যা শনিবার ঢাকায় সমাবেশ, ৩ দিনের কর্মসূচি দিল বিএনপি বুড়িগঙ্গায় তেলবাহী ট্রলারে বিস্ফোরণ, কেঁপে উঠল পুরো এলাকা দুই আসামিকে ধরতে খাগড়াছড়িতে হেলিকপ্টার দিয়ে সাঁড়াশি অভিযান টানা বৃষ্টিতে রাজধানীতে জলাবদ্ধতা, পথে পথে নানা দুর্ভোগ ঈদের আনন্দ বাড়িয়েছে বিকাশ অ্যাকাউন্টে পাঠানো রেমিটেন্স ঈদুল আজহায় ৩০৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৫৮ জন নিহত বোতলজাত পানির দাম কেন বাড়লো, খবর নিয়ে ব্যবস্থা: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সবাইকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান দুদকের কাজে সরকার হস্তক্ষেপ করবে না: কাদের ধনকুবেরের পুত্রের বিয়ে: ২ লাখ টাকার মিনি ড্রেসে নজর কাড়লেন কিয়ারা পাসপোর্ট কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য সকাল থেকে ঢাকায় ঝুম বৃষ্টি ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত রবি আজিয়াটা

হাসপাতালে ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসা, পলেস্তারা খসে আহত ৩

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বুধবার, ২৯ মে, ২০১৯
  • ৪৪ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,(গোপালগঞ্জ)প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। এ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে রোগী ও তার স্বজনরা আহত হচ্ছেন। হাসপাতালের জরাজীর্ণ ভবনে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে চলছে চিকিৎসা।

গতকাল মঙ্গলবার (২৮ মে) বিকেলে হাসপতালের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে দুই শিশুসহ তিনজন আহত হয়েছে। তারপর হাসপাতালের ওয়ার্ড থেকে রোগী বের করে বারান্দা ও ফ্লোরে রেখে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডের দরজায় তালা মেরে দিয়েছে।

কোটালীপাড়া উপজেলার তিন লাখ মানুষের স্বাস্থ্য সেবার জন্য ৫০ শয্যার একটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রয়েছে। সাধারণ মানুষ এখান থেকে চিকিৎসা সেবা নিয়ে থাকেন। হাসপাতালের ২য় তলায় নারী ও পুরুষ রোগীদের জন্য পৃথক দুটি ওয়ার্ড রয়েছে। এ ওয়ার্ড দুটির ছাদ অনেক আগেই জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। দেখা দিয়েছে অসংখ্য ফাটল। প্রায়ই ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে রোগী, তাদের স্বজন, নার্স ও কর্মচারীরা আহত হচ্ছেন।

গতকাল মঙ্গলবার হাসপাতালে অসুস্থ্য মামাকে দেখেতে এসে ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে কোটালীপাড়া উপজেলার মাঝবাড়ি গ্রামের উজ্জ্বল মোল্লার শিশু পুত্র তামিম মোল্লা (৭) আহত হয়েছে। এ সময় তামিমের খালা কুলসুম বেগম (১৯) ও খালাত বোন শারমিন খানম (৬) আহত হয়।

তামিম কোটালীপাড়া উপজেলার লোহারঅংক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণির ছাত্র। তামিম মোল্লাকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে। অপর দুজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছে। এ ঘটনার পর রোগীদের হাসপাতালের বারান্দা ও ফ্লোরে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। সেখানে ফ্যান না থাকায় রোগীদের গরমে কষ্ট হচ্ছে।

বুধবার সকালে কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মাহফুজুর রহমান কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তিনি রোগীদের খোঁজ-খবর নেন।

আহত তামিমের মা তানজিলা বেগম বলেন, আমার ভাই হেলাল মাতুব্বর অ্যাপেনডিক্সে আক্রান্ত হয়ে এ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আমার ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে তাকে দেখতে হাসপাতালে আসি। এ সময় আমার বোন কুসুম ও তার মেয়ে শারমিন ছিল। হঠাৎ করে ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে আমার ছেলে, বোন ও ভাগনি আহত হয়। আমার ছেলের মাথা ফেটে গেছে। মাথায় অনেক রক্তক্ষরণ হয়েছে।

রোগীর স্বজন কোটালীপাড়া উপজেলার মধ্যহিরণ গ্রামের পারভীন বেগম বলেন, হাসপাতালে আমরা আসি জীবন রক্ষা করতে। কিন্তু এখানে এসে দেখছি ভবনের বেহাল দশা। এখানে চিকিৎসক, নার্স, রোগীসহ হাসপাতালের সবাই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। যে কোনো সময় ছাদ ধসে প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে।

kotalipara-Hospital

রোগীর স্বজন করিমন বেগম বলেন, বারান্দায় ফ্যান নেই। গরমে আমাদের রোগীর প্রচণ্ড কষ্ট হচ্ছে।

হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স বর্ণালী রায় (৪৫) বলেন, মঙ্গলবার ওয়ার্ডে কাজ করার সময় ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে। ওই বাচ্চাটির মাথা ফেটে রক্ত পড়ছিল। আমি মাথা চেপে ধরে বাচ্চাটিকে জরুরি বিভাগে নিয়ে ব্যান্ডেজ করে দেই। এর আগেও ফ্যান পড়ে নার্স আহত হয়েছে। এছাড়া ছাদের পলেস্তারা প্রায়ই খসে পড়ে অনেকে আহত হয়েছেন। আমরা মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছি। এখন রোগীদের বারান্দা ও ফ্লোরে রাখা হয়েছে। হাতে ফাইল নিয়ে রোগীকে নাম ধরে খুঁজে বের করতে হচ্ছে। ঝুঁকির মধ্যে এখন কাজ আরও বেশি করতে হচ্ছে।

কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. সুশান্ত বৈদ্য বলেন, ওই শিশুটিকে সব ধরনের সহায়তার পাশাপাশি চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আমরা ওষুধের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। তার অবস্থা আশঙ্কামুক্ত। দুই ওয়ার্ড থেকে রোগী বের করে বারন্দা ও ফ্লোরে রাখা হয়েছে। হাসপাতালের নতুন ভবনের কাজ শুরু হয়েছে। সেখানে রোগী স্থানান্তর করতে পারলে এ ঝুঁকি নিরসন হবে।

বাংলা৭১নিউজ/আরএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com