বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গত ২৯ এপ্রিল থেকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা পুরোপুরি শেষ না হওয়ায় আপাতত তাকে আরও কিছুদিন হাসপাতালে থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
বেগম খালেদা জিয়ার একাধিক চিকিৎসক এবং তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা সূত্রে জানা গেছে, গত তিন দিন আগে বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয় খালেদা জিয়াকে। চিকিৎসকরা মনে করছেন-তার পুরোনো শারীরিক সমস্যাগুলোর সঙ্গে নতুন করে কোনো সমস্যা তৈরি হয়েছে কি না তা জানতে বেশ কিছু পরীক্ষা করা দরকার।
যা একদিনে করা সম্ভব না। তাই, বারবার হাসপাতালে নেওয়ার ঝামেলা এড়াতে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভর্তির পর থেকে গত তিন দিনে বেশকিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। আরও কিছু পরীক্ষা করতে হবে। সে কারণেই তাকে আরও কিছুদিন হাসপাতালে থাকতে হবে।
বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, হাসপাতালে ম্যাডামের বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা হচ্ছে। চিকিৎসকের পরামর্শে তার চিকিৎসাও চলছে। আরও কিছু পরীক্ষার জন্য ম্যাডামকে কয়েকদিন হাসপাতালে থাকতে হবে।
নাম না প্রকাশ শর্তে বিএনপির চেয়ারপারসনের মেডিক্যাল টিমের একজন চিকিৎসক জানান, তাকে নির্দিষ্ট কোনো রোগের জন্য হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়নি। ওনার বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। ওনার অনেকগুলো শারীরীক সমস্যা রয়েছে। এর মধ্যে লিভারের অবস্থা খুব বেশি ভালো না। সে কারণেই মূলত ওনাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ওনার পুরোনো রোগগুলোর সঙ্গে নতুন কোনো সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে কি না, তা নিশ্চিত হতে অনেকগুলো পরীক্ষা করানো হচ্ছে। যেসব পরীক্ষা তো একদিনে করানো সম্ভব নয়। সে কারণেই আরও কিছুদিন তাকে হাসপাতালে থাকতে হবে।
হাসপাতাল এবং দলীয় সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার গৃহকর্মী ফাতেমা ছাড়াও দেখভালের জন্য হাসপাতালে আসা-যাওয়ার মধ্যে আছেন ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দ শর্মিলা রহমান। আর লন্ডন থেকে নিয়মিত খোঁজ খবর নিচ্ছেন বড় ছেলে তারেক রহমান এবং তার স্ত্রী জোবাইদা রহমান। এছাড়া চিকিৎসকদের পরামর্শে খালেদা জিয়ার জন্য খাবার দেওয়া হচ্ছে বাসা থেকে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ