বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: দেশে প্রথমবারের মতো হার্টের ভাল্ব এবং পেসমেকারের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য (এমআরপি) নির্ধারণ করা হয়েছে।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট সবার মতামতের ওপর ভিত্তি করে এ মূল্য নির্ধারণ করেছে। মূল্য নির্ধারণে হার্টের ভাল্বের ক্ষেত্রে মডেল ও কোম্পানি ভেদে ৪ হাজার ৮০০ টাকা থেকে ২৬ হাজার টাকা পর্যন্ত দাম কমানো হয়েছে। পেসমেকারের ক্ষেত্রে ৫ হাজার টাকা থেকে ৪ লাখ ৭ হাজার টাকা পর্যন্ত দাম কামানো হয়েছে।
আজ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এক সভায় হার্টের ভাল্ব ও পেসমেকারের খুচরা মূল্য নির্ধারণের বিষয়টি জানান প্রশাসনের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান।
তিনি বলেন, ইতোপূর্বে হার্টের রিং (স্টান্ট) এর মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমানে হৃদরোগ ইনস্টিটিউটসহ অন্য হাসপাতালগুলোতেও নির্ধারিত মূল্যে রিং পাচ্ছেন রোগীরা। একইভাবে আজ ভাল্ব ও পেসমেকারের মূল্য নির্ধারণ হলো। এখন থেকে দেশের সব হাসপাতালে এই মূল্যেই এসব ডিভাইস পাবেন রোগীরা।
জানা গেছে, হার্টের ভাল্ব ও পেসমেকারের মূল্য নির্ধারিত না থাকায় রোগীদের কাছ থেকে ইচ্ছেমতো টাকা আদায় করা হতো। বিষয়টি ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের নজরে এলে গত ২৮ নভেম্বর কার্ডিওলজিস্ট, কার্ডিয়াক সার্জন এবং মেডিক্যাল ডিভাইস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করা হয়। সভায় সবার মতামতের ভিত্তিতে পেসমেকার ও ভাল্বের খুচরা মূল্য নির্ধারণ করা হয়। যা আজ প্রকাশ করা হলো।
এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) অধ্যাপক ডা. কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, মূল্য নির্ধারণ হয়েছে, এটা ভালো কথা। কিন্তু হার্টের ভাল্ব ও পেসমেকার বসাতে রোগীকে আরো আনুসঙ্গিক ব্যয় বহন করতে হয়। এক্ষেত্রে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর যদি ভাল্ব ও পেসমেকারের পাশপাশি প্রতিস্থাপনের সর্বোচ্চ প্যাকেজ মূল্য নির্ধারণ করে দিত, তাহলে ভাল হতো।
তবে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোস্তফিজুর রহমান বলেন, প্যাকেজ মূল্য নির্ধরাণ করা প্রশাসনের কাজ নয়। এটি হাসপাতালের কাজ।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আফজালুর রহমান, প্রাক্তন পরিচালক অধ্যাপক ডা. শাফি আল মজুমদার, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক মো. রুহুল আমিন, নায়ার সুলতানা প্রমুখ।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস