বাংলা৭১নিউজ,নবীন চৌধুরী,ধামরাই(ঢাকা)প্রতিনিধি: এক সময়ে গ্রাম বাংলা ঘরে ঘরে শুনা যেত ভাতে মাছে বাঙলী।কিন্তু কালের গর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে ভাতে মাছে বাঙলী কথাটি। এছাড়া পঁটির তেলে পুঁটি মাছ ভাজা। এটা এখন শুধু গল্প মনে হলেও এক সময় সত্যি ছিল। গ্রামের মানুষ নদী- নালা, খাল- বিল থেকে ঝাপিঁ ঝাপিঁ পুঁটি মাছ মেরে ওই পুঁটির তেল দিয়েই পুঁটি মাছ খেতো। সব বাঙলীরই প্রিয় দেশীয় ছোট মাছ। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে হারিয়ে যাচ্ছে ছোট মাছ।
দেশের নদীসহ উপজেলার বিভিন্ন নদ-নালা খাল- বিলে এখন মিলছে না তেমন ছোট মাছ। পানি দূষন ও পানি স্বল্পতার অভাবে হারিয়ে যাচ্ছে ছোট মাছ। ইতিমধ্যে দেশীয় প্রজাতির ছোট বড় অনেক মাছ হারিয়ে গেছে। গজার, টেপা মাছ, মাগুর, বোয়াল, চিতল, ফলি, ফাসা, নুনা মাছ, চেবলী, আইকার, তপসি, চাঁদা মাছ এখন খুজেঁ পাওয়া যায় না। মাছ বাজারে পাওয়া যায় না ঢেলা, তারা বাইন, বাতাসি,বাইলা, শিং, ভেকটি, জাল মাছ চিংড়ি সহ হরেক রকম মাছ। কৈ মাছ,খৈলশা, পুঁটি মাছ এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে।
বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের সাথে কথা বললে তারাজানান, জমিতে অতিরিক্ত সার, কীটনাশক ব্যবহার ও ছোট খাল বিলের মাটি ভরাট করে বাড়ি ঘর তৈরী করার ফলেই পানিতে অনেক ছোট মাছ এখন হারিয়ে গেছে। ছোট মাছের অভাবে অনেকে চাষের তেলাপিয়া,পাঙ্গাস বার্মার রুই ও জিলবার চাষ করে থাকে। একজন সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা প্রীতি কণা পাল জানান, ফাগুন- চৈত্র মাসে খাল- বিল, নদী- নালা শুকিয়ে যাওয়ায় দেশীয় প্রজাতির ছোট মাছ প্রজনন করতে পারে না। এ কারণে বর্ষা মৌসুমেও আগের মতো মাছ পাওয়া যায় না। ছোট মাছ পুষ্টিকর, স্বাস্থ্যসন্মত এবং সকলের পছন্দের।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস