বাংলা৭১নিউজ, মোঃ মনসুর আলী, আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি: আগের মত আর চোখে পরে কাঠের বাক্স্রের বায়স্কোপ। কালের বিবর্তনে হারিয়ে গাছে এক সময়ের গ্রাম-বাংলার কাঠের বাক্সের জনপ্রিয় বায়স্কোপ। পঁচ্ছাত্তর দশকের পর্যন্ত শহর বন্দর,গ্রাম-গঞ্জে কাঠের বাক্সের বায়স্কোপ ব্যাপক জনপ্রিয় ছিল। চোখ লাগিয়ে দেখতে কাঠের বাক্সে ৫-৬টি ফুটো তৈরী করে মাথায় নিয়ে ঝন জনি ব্যাজিয়ে শহর বন্দর,গ্রাম-গঞ্জে ঘুড়ে বেরাত বায়স্কোপ প্রদর্শকরা।
বায়স্কোপ নামক বাক্সের ভিতরে সেই সময়ের নায়ক- নায়িকা, তাজ মহল,রাজা জমিদারের রাজপ্রাসাদও তাদের সাশন আমলের লাঠিয়ার বাহিনীর কর্মকান্ডের স্থিরচিত্র প্রদর্শন করা হতো। সেসব চিত্র এক নজর দেখতে হুমরি খেয়ে পরতো শিশু কিশোর আবাল বৃদ্ধসহ সবশ্রেনীর মানুষ। প্রদর্শকরা বলতো চারেদিকে নজর কর এইবারেতে এসেগেল সুচিত্রা সেন দেকতে ভালো।
এসব কথাশুনে সব বয়সের মানুষ হুমরি খেয়ে পরত এবং এই বিনোদন উপভোগ করত। কালের বিবর্তনে হারিয়ে গাছে সেই সময়ের জনপ্রিয় এই বিনোদন বাহক বায়স্কেপ। সুধু এই বাহকই নয়। ঘরে ঘরে টেলিভিশন, ডিশ লাইনের আবিরভাবে সিনেমা দর্শক অভাবে সম্প্রতি বন্ধু,বান্ধব এমনকি সপরিবারে বিনোদ উপভোগ করার একমাত্র স্থান দেশের সিনেমা হলগুলো ভেঙ্গে ফেলে মার্কেট নির্মান করা হচ্ছে।
এবিষয়ে উপজেলার ছাতিয়ানগ্রম ইউপি চোয়ারম্যান আব্দুল হক আবু, সান্তাহার ইউপি চেয়ারম্যান এরশাদুল হক টুলু,সান্তাহার শহরের বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী আবু মুসা টুটুল হিটলার, মামুন (টুল) বলেন আমরা যখন ছোট ছিলাম গল্প শুনতাম সিনেমা হলে প্রচন্ড ভির হতো, তাই গ্রামে বা স্থানীয় মেলায় বাইজকুপ দেখানো হতো আর সেটা দেখে সিনেমার খোড়াক মিটাতাম। এখনকার ছেলে মেয়েরা এটা বিষয়ে খুব একটা বলতে পারবেনা এবং অনেকের ধারনাই নেই।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস