বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী ছাত্রলীগ নেতাদের বিচার দাবি করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষাথীরা।
মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাষ্কর্যের পাদদেশে ‘নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষার্থী’র ব্যানারে আয়োজিত এক মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে তারা এ দাবি জানান।
শনিবার (৩০জুন) কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা এক সংবাদ সম্মেলেনের প্রাক্কালে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হামলার শিকার হন। সেসময় কোটা আন্দোলনকারীদের নেতা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ছাত্র নুরুল হক নূরকে বেদম মারধর করা হয়। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকসহ আরও অন্তত ৭জন আহন হন।
এর একদিন পর সোমবার (০২জুলাই) আবারো কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে হামলার শিকার হন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বেশ কয়েকজন। অভিযোগ রয়েছে, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
মানববন্ধনে আন্দোলনকারীরা ‘ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা দে নইলে পদ ছেড়ে দে’ ‘ছাত্রলীগের সন্ত্রাস থেকে শিক্ষা বাঁচাও’, ‘আন্দোলনে ছাত্রলীগের হামলার বিচার চাই’, ‘আন্দোলনের সাথে প্রহসন বন্ধ কর, যৌক্তিক সংস্কার কর’ ইত্যাদি ফেস্টুন প্রদর্শন করে।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তার সঙ্কট দেখা দিয়েছে। শিক্ষার্থদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। প্রশাসনের উচিত তাদের দায়িত্ব ছেড়ে দেয়া।
দুইদিন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের হামলার ঘটনার পরও ঢাবি প্রশাসন চুপ ছিল উল্লেখ করে বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী জাকারিয়া অনিমেষ বলেন, ‘তারা কোনও পদক্ষেপ নেয়নি।প্রশাসন নৈতিকভাবে যে জায়গায় আছে সেখানে তাদের চুপ করে থাকার অধিকার নেই।
তিনি বলেন, ‘প্রক্টর বলেছেন কেউ অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নিব। অথচ ছাত্রলীগের হামলার গোপনে হয়নি। সবাই দেখেছে। অনেকেই গুরুতর আহত হয়েছেন। কাউকে গুম করা হয়েছে। কারা অভিযোগ করবে? এগুলো প্রশাসন দেখে না?’
সালমান ফারসি নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘গত ১০ বছরে ছাত্রলীগের কেউ আহত হয়নি। তারা অন্যদের মারধর করে আহত করছেন। এতে তাদের কোনও বিচার করে না প্রশাসন।’
উম্মে হাবিবা বেনজির বলেন, ‘গত দুইদিন ক্যাম্পাস খুলতে না খুলতেই ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হয়েছে।’ তিনি ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডকে আইয়ুব খানের এন এস এফকে ছড়িয়েছে বলে অভিযোগ করেন।
তিনি প্রক্টরের বক্তব্য উল্লেখ করে বলেন, ‘প্রক্টর শনিবারের ঘটনায় বলেছেন ক্যাম্পাস ছুটি ছিল। তিনি কিছু জানতেন না। তার কাছে কোনও কেউ অভিযোগ করেনি। অথচ প্রক্টরের দায়িত্ব ক্যাম্পাসে ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। ক্যাম্পাস ছুটি কিনা এ কথা বলার কোনও সুযোগ তার নেই। তিনি দায়িত্ব পালন করতে না পারলে পদত্যাগ করুক। সৌজন্যে: ঢাকাটাইমস।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস