বাংলা৭১নিউজ,(নেত্রকোনা)প্রতিনিধি: নেত্রকোনায় পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণ করে হাত-পা ও মুখ বেঁধে দুইদিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। বৃহষ্পতিবার ভোর ৪টার দিকে ওই শিক্ষার্থী পালিয়ে এসে তার মা-বাবাকে ঘটনাটি জানায়। পরে তাকে নেত্রকোনা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও শিশুটির স্বজনরা জানায়, গত ২৯ অক্টোবর রাতে শিশুটি তার নানির সঙ্গে পাশের মহল্লায় ওয়াজ শুনতে যায়। সেখান থেকে কয়েকজন বখাটে তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে একটি ঘরে আটকে রেখে হাত-পা ও মুখ বেঁধে দুই দিন ধরে ধর্ষণ করে।
বৃহষ্পতিবার দুপুরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীর অবস্থায় শিশুটি জানায়, ভাজনীপাড়া গ্রামের একলাস মিয়ার বখাটে ছেলে পিয়েল মিয়াসহ (২৫) আরও দুইজন তাকে ওয়াজ মাহফিল থেকে ডেকে নেয়। একটু দূরে গিয়ে পিয়াল তার হাতে কিছু টাকা গুঁজে দিয়ে কুপ্রস্তাব দেয়। এতে সে রাজি না হওয়ায় মুখ বেঁধে তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর একটি ঘরে নিয়ে পিয়াল তাকে ধর্ষণ করে। পরে হাত-পা ও মুখ বেঁধে তাকে ঘরের মাচায় ফেলে রাখা হয়। সারাদিন এভাবে সেখানে পড়ে থাকে সে। পরদিন সন্ধায় তাকে সেখান থেকে বের করে মাচার নিচে মাটিতে ফেলে রাখা হয়।
এ ঘটনায় নেত্রকোনা মডেল থানায় একটি জিডি করেছেন ভুক্তভোগী শিশুটির বাবা।
শিশুটির বাবা জানান, ভাজনীপাড়া গ্রামের একলাস মিয়ার বখাটে ছেলে পিয়েল মিয়া (২৫) তার মেয়েকে অপহরণ করে দুই দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করেছে। দীর্ঘদিন ধরেই পিয়েল তার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করতো। এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেছেন তিনি।
নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, থানায় একটি জিডি হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম আশরাফুল আলম হাসপাতালে শিশুটির সঙ্গে কথা বলে জানান, তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে শিশুটি জানিয়েছে। আমরা ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বাংলা৭১নিউজ/পিআর