বাংলা৭১নিউজ, হিলি প্রতিনিধি: চলতি মৌসুমে হাকিমপুর উপজেলার মাঠে মাঠে বোরো ক্ষেতের আগাছা পরিস্কারের ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষীরা। এ কাজে দেড়শ টাকা মুজুরি পাচ্ছেন কিষানিরা।
গত বন্যায় আমন ও অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এ উপজেলায় চাষিরা নতুন স্বপ্ন বুকে বেধে ইরি বোরো চাষ করছেন।
হাকিমপুরের ১ পৌরসভা ও ৩টি ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠ সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে চাষিরা ইতিমধ্যে তাদের জমির ক্ষেতে আগাছা পরিস্কার শুরু করেছে। এরপর তারা প্রয়োজনীয় সার ও কীটনাশক ব্যবহার শুরু করছে। দেখা গেছে প্রত্যেক জমিতেই মহিলা শ্রমিকরা কাজ করছে। পুরুষ শ্রমিকের সংখ্যা নজরে খুবই কম পড়ছে।
আলীহাট ইউনিয়নের বোরো চাষি আঃ রহমান জানান, ধান রোপন সহ আগাছা পরিস্কারের কাজে কিষানীরা খুবই পারদর্শী। তারা কাজে কোন ফাকি দেয় না। সকাল ৮টা থেকে বৈকাল ৩টা পর্যন্ত একটানা কাজ করে যায়। এ কারনে কিষানীদের কাজের কদরও বেশী।
হাতিশোর কৃষক সামছুল জানান, পুরুষ শ্রমিক তিনশত টাকা না দিয়ে মহিলা কিষানীদের ২শ টাকায় কাজ করিয়ে নেওয়া যায়।
এদিকে আঃ মান্নান বলেন, আমি পাঁচ একর জমিতে ইরি আবাদ করেছি। বীজ সংগ্রহ থেকে শুরু করে রোপন করা পর্যন্ত মহিলা শ্রমিক দিয়েই কাজ করেছি।
কৃষক মাহাবুর রহমান বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে প্রতি বিঘায় হাইব্রিড ধান প্রায় ২৫ থেকে ৩০ মন ফলন হবে। সার কীটনাশক, সেচ ও শ্রমিকের খরচ বাদ দিয়েও মুনাফা ভালো হবে।
অন্য দিকে কিষানী প্রমীলা বালা, মিনতি রায়, রুবিনা পাহান বলেন সারাদিন কাজ করে মুজুরি পাই ২শত টাকা। কোন রকম দিন পার হচ্ছে।
বর্তমানে মোটা চালের কেজি ৩০ থেকে ৩৩ টাকা, তেল, লবন, আলু, মরিচ কিনতেই টাকা কুলায় না। খুব কষ্টে দিন যাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, রোগ বালাই না থাকায় উপজেলায় ইরি বোরো ধান ভালো হয়েছে। আমাদের লোকজন সার্বক্ষনিক মনিটরিং করেছে। এবারের আবহাওয়া ভাল থাকলে গত বন্যার ক্ষয়-ক্ষতি কৃষকরা পুষিয়ে নিতে পারবেন।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস