বাংলা৭১নিউজ, গোলাম মোস্তাফিজার রহমান মিলন, হিলি প্রতিনিধি : দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর উপজেলার সরকারি -বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোতে নেই বিজ্ঞানাগার ও বিজ্ঞান শিক্ষার প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি। বিদ্যালয় গুলোতে নেই বিজ্ঞান শিক্ষক, সেই সাথে নেই বিজ্ঞান শিক্ষার ব্যবস্থাও। বিশেষ করে গ্রামের স্কুলগুলোর অবস্থা একেবারেই নাজুক। এ উপজেলার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলোতে বিজ্ঞান শিক্ষার বেহাল দশা।
বেশিরভাগ বিদ্যালয়গুলোতে বিজ্ঞান শিক্ষার জন্য কোন আলাদা ভবন নেই। এমনকি আলাদা কক্ষও নেই। নেই যন্ত্রপাতিও। কোন কোন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষাকের কক্ষের ভিতরেই আলমারিতে কিছু যন্ত্রপাতি সাজিয়া রাখা হয়েছে। তাও আবার সেগুলো ব্যাবহার করা হয় না। এতে শিক্ষার্থীরা ব্যবহারিক বিজ্ঞান শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ফলে শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান বিষয়ের ব্যবহারিক পরিক্ষায় অংশ গ্রহন করে কম নাম্বার পাচ্ছেন। বিজ্ঞান ভিত্তিক পড়ালেখা হাতে ও কলমে উভয় দিকে পিছিয়ে পড়ছেন। শিক্ষার্থীরা চুড়ান্ত পরিক্ষায় কাঙ্খিত ফলাফল করতে ব্যর্থ হচ্ছেন। মাধ্যমিক পর্যায়ের অনেক শিক্ষার্থীই জানেনা যে তাদের স্কুলে বিজ্ঞানাগার আছে।
গ্রামের শিক্ষার্থী হওয়ায় এবং আর্থিক সচ্ছলতা না থাকলেও ওই শিক্ষার্থীরা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিদ্যালয়গুলোতে নবম শ্রেণীতে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হয়। কিন্তু বিজ্ঞানাগার না থাকায় তারা হাতে কলমে বিজ্ঞান শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। খাট্রাউছনা উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাসদুর রহমান জানান, স্কুলে বিজ্ঞানাগার আছে তা তার জানা নেই।
ছাতনী রাউতারা জেএম ফাযিল মাদ্রাসার বাংলা প্রভাষক মো. মুহেববুবুর রহমান বলেন, শিক্ষার গুনগতমান উন্নয়নের জন্য কাজ করছে সরকার। আর এ গুণগত মান উন্নয়নের জন্য প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিজ্ঞানাগারের জন্য আলাদা কক্ষ থাকা প্রয়োজন।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, প্রত্যেক বিদ্যালয়ে আলাদা বিজ্ঞানাগার থাকা প্রয়োজন। কিন্তু অবকাঠামোগত সমস্যার কারণে আলদা বিজ্ঞানাগার করা যাচ্ছে না।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস