বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা:
বাংলাদেশকে ‘হাইরিস্ক’ কান্ট্রি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে আকাশ পথে কার্গো পণ্য পরিবহনে শর্ত আরোপ করেছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ)। এমন ঘোষণায় বিচলিত হয়ে পড়েছে বাংলাদেশের তৈরি পোষাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। তারা বলছেন, এমনটা হলে গামেন্ট পণ্য বিদেশে পাঠাতে নানা সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে। এসব বিষয়ে আলোচনা করতে জরুরি বৈঠকে বসেছে তৈরি পোষাক শিল্প মালিকদের প্রতিষ্ঠান বিজিএমইএ। ওই বৈঠকে পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে মালিকরা আলাপ আলোচনা করছেন। দুপুর ১২টার দিকে কাওরানবাজারে বিজিএমইএ ভবনে এ বৈঠক শুরু হয়।
ইইউভুক্ত দেশগুলোয় কার্গোতে পণ্য পাঠাতে বাড়তি তল্লাশির শর্ত দেয়া হয়েছে। গত সোমবার ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়াদুনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সিভিল এভিয়েশন অথরিটি’র চেয়ারম্যান এহসানুল গনি চৌধুরীসহ এভিয়েশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে। সেখানে ইইউ’র বিধি-নিষেধের বিষয়ে চেয়ারম্যানকে অবহিত করা হয়।
সিভিল এভিয়েশন সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের সঙ্গে কুয়েত, সোমালিয়া, মিশর ও ইয়েমেনকে উচ্চ ঝুঁকির দেশ হিসেবে চিহ্নিত করেছে ইইউ। এ কারণে উড়োজাহাজে করে কার্গো পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তল্লাশি বাড়ানোর অনুরোধ করেছে ইইউ।
বিমানবন্দরে বিস্ফোরক শনাক্তকরণ যন্ত্র যুক্ত করার তাগিদও দিয়েছে তারা। ইইউ এ-ও বলেছে, ঢাকায় ওই তল্লাশি সম্ভব না হলে ট্রানজিট পয়েন্টে অর্থাৎ দুবাই, দোহা, ইস্তাম্বুল ইত্যাদি কোন স্থানে পণ্য স্ক্যান করতে হবে। ওই পণ্যে কোন বিস্ফোরক আছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার পরই ইইউ’র বাজারে তা প্রবেশ করবে। বাংলাদেশকে ইইউ’র নীতিমালা মেনেই পণ্য পাঠাতে হবে বলেও সতর্ক করেছে ইইউ।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস