হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাজশাহীর পদ্মা নদীতে রাস্তা তৈরি করে বালু উত্তোলন করছে ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী এক নেতা। ইজারাকৃত স্থানের বাইরে দিনরাত ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন ও ট্রাকে করে পরিবহনের কারণে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নদীর পাড়, এমন অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। অভিযোগ খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
বর্ষা মৌসুমে টইটুম্বর থাকলেও শীত এলে প্রমত্তা নদী পদ্মার বুকে জেগে ওঠে ধু-ধু বালুচর। প্রায় ১৭ কোটি টাকায় রাজশাহীতে পাঁচটি বালুমহালের ইজারা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। তার একটি চর শ্যামপুর ও দিয়ার খিদিরপুর বালুমহাল। তবে সেখান থেকে সাত কিলোমিটার দূরে তালাইমারিসংলগ্ন পদ্মা নদীতে রাস্তা তৈরি করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও পরিবহন করছেন ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী এক নেতা।
এক ব্যক্তির করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট এ ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও তা অমান্য করে চলছে বালুখেকোদের দৌরাত্ম্য।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সবসময় ট্রাক চলাচলের কারণে ধুলাবালি উড়ে এলাকার পরিবেশ বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ার পাশাপাশি পাড়ও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নানা অজুহাত দেখিয়ে নিজের পক্ষে সাফাই গাইলেন অভিযুক্ত প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. রজব আলী। অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, দেশীয় যে প্রযুক্তি রয়েছে, সেই ড্রেজারের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করে তা তো ট্রাকে করেই নিতে হবে, হেলিকপ্টারে করে তো নিতে পারব না। আবার শহরের ভেতর দিয়ে তো পাইপও বসাতে পারব না। তিনি জানান, হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার পর তিনি আর বালু উত্তোলনের কাজ করছেন না।
এদিকে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বালু উত্তোলন করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন রাজশাহীর জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল জলিল। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এ বছর রাজশাহীতে পাঁচটি বালুমহাল ইজারা দেওয়া হয়। এর মধ্যে পবা উপজেলায় একটি, গোদাগাড়ীতে দুটি, চারঘাটে একটি ও বাঘায় একটি বালুমহাল রয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/সর