বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) গ্রহণ সংক্রান্ত শুনানি ও আসামিদের উপস্থিতির জন্য আগামী ৮ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল। সোমবার ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মুজিবুর রহমান ওই দিন ধার্য করেন।
এর আগে রোববার মামলার নথিপত্র বিচারের জন্য এ ট্রাইব্যুনালে আসে। চলতি মাসের ২৬ জুলাই চাঞ্চল্যকর এ মামলাটি বদলীর আদেশ দেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) সাইফুজ্জামান হিরো।
জঙ্গি হামলায় জড়িত ২১ জনকে চিহ্নিত করে জীবিত আটজনের বিরুদ্ধে চলতি মাসের ২৩ জুলাই আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করা হয়। তদন্ত শেষে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) পরিদর্শক হুমায়ুন কবীর এ চার্জশিট দাখিল করেন। ঘটনায় জড়িত ‘চিহ্নিত’ বাকি ১৩ জন এরই মধ্যে বিভিন্ন অভিযানে নিহত হওয়ায় তাদের নাম চার্জশিট থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।
চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী, রাকিবুল হাসান রিগান, রাশেদুল ইসলাম ওরফে র্যাশ, সোহেল মাহফুজ, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, হাদিসুর রহমান সাগর, শহীদুল ইসলাম খালেদ ও মামুনুর রশিদ রিপন। আসামিদের মধ্যে প্রথম ছয় জন কারাগারে ও শেষে দুজন পলাতক রয়েছে।
গুলশান হামলায় জড়িতদের মধ্যে নিহত ১৩ জনের পাঁচজন নিহত হয় হলি আর্টিজান হামলায় অভিযানের সময়ই। এরা হচ্ছে- রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, মীর সামেহ মোবাশ্বের, নিবরাস ইসলাম, শফিকুল ইসলাম ওরফে উজ্জ্বল ও খায়রুল ইসলাম ওরফে পায়েল। বাকি আটজন বিভিন্ন জঙ্গি আস্তানায় অভিযানে নিহত হয়। এরা হচ্ছে- আহমেদ চৌধুরী, নুরুল ইসলাম মারজান, তানভীর কাদেরী, মেজর (অব.) জাহিদুল ইসলাম ওরফে মুরাদ, রায়হান কবির তারেক, সারোয়ার জাহান মানিক, বাশারুজ্জামান ওরফে চকলেট ও মিজানুর রহমান ওরফে ছোট মিজান।
২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে দুই পুলিশসহ দেশি-বিদেশি ২২ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ অভিযান ‘অপারেশন থান্ডারবোল্ডে’ পাঁচ জঙ্গি নিহত হয়। অভিযানে এক জাপানি ও দুজন শ্রীলঙ্কানসহ ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় ৪ জুলাই গুলশান থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলাটি দায়ের করে পুলিশ।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস