মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৩৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
চীনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মির্জা ফখরুলের বৈঠক বাংলাদেশকে ‘কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ’ বললেন ভারতের সেনাপ্রধান ডিক্যাবের চা-চক্রে রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী খুলনার বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে রংপুর বাংলাদেশ থেকে আরও দক্ষ কর্মী নিতে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতি আহ্বান হোয়াইট হাউজে যাচ্ছেন ট্রাম্প, গুরুত্ব পাবে যেসব বৈশ্বিক বিষয় টানা তৃতীয় জয়ে সেরা দুইয়ে চিটাগং কিংস এইচএমপি ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই, মহামারির ঝুঁকিও নেই ন্যায়বিচার চান প্রয়াত শিল্পপতি হাসানের স্ত্রী জান্নাতুল সচিবালয়ের সামনে অনশনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ফেব্রুয়ারিতেই সব বই পাবে শিক্ষার্থীরা: শিক্ষা উপদেষ্টা মালয়েশিয়ায় ৭ দিন বিশেষ ব্যবস্থায় পাসপোর্ট দেবে হাইকমিশন পিএসসির ৬ সদস্যের নিয়োগ বাতিল এবার ভারতে বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনারকে তলব এসবির প্রধান হলেন গোলাম রসুল ৩৩ বছর পর জাবিতে হবে ছাত্র সংসদ নির্বাচন জোড়া ফিফটিতে সিলেটের বিপক্ষে ২০০ পার চট্টগ্রামের ৫০ পুলিশ সুপারসহ ৭৪ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে একযোগে বদলি কর্মস্থলে যাওয়ার পথে প্রাণ গেলো ব্যাংক কর্মকর্তার রাজস্ব ও ভর্তুকির জন্য ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে: খাদ্য উপদেষ্টা

হরিরামপুরে ফের ভাঙনে পদ্মা পাড়ে আতঙ্ক

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি:
  • আপলোড সময় বুধবার, ২৮ আগস্ট, ২০২৪
  • ২৪ বার পড়া হয়েছে

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলায় পদ্মা নদীর তীব্র স্রোতে চরাঞ্চলের তিনটি ইউনিয়নে ফের ভাঙন শুরু হয়েছে। দুর্গম চরাঞ্চলে ভাঙন কবলিত এলাকার ফসলি জমি নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে। এছাড়াও লেছড়াগঞ্জের নটাখোলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি ভবন পদ্মার পেটে। এতে নতুন করে ভাঙন আতঙ্কে রয়েছেন চরাঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষ।

জানা যায়, প্রায় ৫০ দশক থেকে অব্যাহত পদ্মার ভাঙনে এ উপজেলার আজিমনগর, সুতালড়ী ও লেছড়াগঞ্জ ৩টি ইউনিয়ন সম্পূর্ণরূপে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ৭০ দশকের শেষের দিকে চর জেগে উঠলে ৩টি ইউনিয়নে আবার জনবসতি শুরু হয়। বর্তমানে চরাঞ্চলের এসব ইউনিয়নে প্রায় ৫০ হাজারেরও অধিক মানুষের বসবাস। তবে এখনো ভাঙাগড়ার মধ্য দিয়ে বসবাস করছেন চরাঞ্চলের মানুষ। 

চলতি বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই পদ্মার পানি বৃদ্ধিতে প্রবল স্রোত আর ঢেউয়ের আঘাতে আজিমনগরের হাতিঘাটা এলাকা থেকে লেছড়াগঞ্জ ইউনিয়নের সেলিমপুর পর্যন্ত ভাঙন দেখা দেয়। যা বর্তমানে তীব্র আকার ধারণ করেছে।

স্থানীয়রা জানান, হাতিঘাটা এলাকায় অনেক জায়গায় জিও ব্যাগ থাকলেও তা ধসে নদীর তীরের মাটি বের হয়ে এসেছে। নদী ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে এ এলাকার শত শত পরিবার। এছাড়া ভাঙনের হুমকির মুখে রয়েছে সুয়াখাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্প, হাতিঘাটা বাজার, ভিটাবাড়িসহ শত শত বিঘা ফসলি জমি। 

আজিমনগর ইউনিয়নের এনায়েতপুর গ্রামের বাসিন্দা নাসির উদ্দীন বলেন, বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকে ভাঙন দেখা দিয়েছে। যা এখনো অব্যাহত আছে। কিছু জায়গায় জিও ব্যাগ ফেললেও ধসে যাচ্ছে। একের পর এক কৃষি জমি বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এভাবে ভাঙলে চরাঞ্চলে টিকে থাকা কষ্টকর। 

লেছড়াগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য মোতালেব হোসেন বলেন, নদীতে পানির তীব্র স্রোতে লেছড়াগঞ্জ ইউনিয়নের প্রায় ৬ কিলোমিটার এরিয়া নিয়ে চরাঞ্চলের ফসলি জমি নদীতে চলে যাচ্ছে। চলতি বর্ষায় প্রায় ১ কিলোমিটারের অধিক জমি নদীতে চলে গেছে। আমার ওয়ার্ডের অনেকের ভিটেবাড়ি ও একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও নদীতে চলে গেছে। এভাবে ভাঙলে হয়তো চরই থাকবে না। অনেক কৃষক জমি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ছে। 

মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাঈন উদ্দীন বলেন, চরাঞ্চলে আমরা গত তিন বছরে কয়েকটি এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলেছি। আবারও আমরা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি। অনুমোদন পেলেই হয়তো কাজ শুরু করা হবে।

বাংলা৭১নিউজ/এসএম

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com