বাংলা৭১নিউজ, জামাল হোসেন বাপ্পা, বাগেরহাট প্রতিনিধি: বাগেরহাটের ঐতিহাসিক হযরত খানজাহান (রহ.) মাজারে তিন দিনব্যাপী মেলা শুরু হয়েছে। শুক্রবার বিকেল থেকে ওই মেলা শুরু হয়। প্রতি বছর চৈত্র মাসের পূর্ণিমা তিথিতে এই মেলা শুরু হয়। চলে তিন দিন ধরে। আগামী রোববার এই মেলা শেষ হবে।
সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার নারী-পুরুষ মাজার এলাকায় জড়ো হতে শুরু করে। এবার মেলায় বিশৃঙ্খলা এড়াতে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। এছাড়া পুলিশের পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত রয়েছেন।
হাজার হাজার ভক্ত এখানে জড়ো হয়ে তাদের মনোবাসনা পূরণের আশায় মিলিত হন। তাদের বিশ্বাস এখানে যেকোনো সমস্যার সমাধান মেলে। অন্যদিকে, মেলা উপলক্ষে মাজার এলাকায় দোকানিরা বাহারি পণ্যের পশরা সাজিয়ে বসেছেন।
প্রয় সাড়ে ৬০০ বছর ধরে হযরত খানজাহান (রহ.) মাজারে এই মেলা চলে আসছে। হযরত খানজাহানের হাজার হাজার ভক্ত দূর-দূরান্ত থেকে মাজার এলাকার দীঘিরপাড়সহ বিস্তৃর্ণ স্থানজুড়ে যে যার মতো করে তাদের আসর বসান। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব ভক্তের পদচারণায় মাজার প্রাঙ্গণ যেন এক মিলন মেলায় পরিণত হয়ে উঠেছে। ভক্তরা দেশীয় নানা বাদ্যযন্ত্র নিয়ে লালন, মুর্শিদী ও ভাটিয়ালী গান পরিবেশন করছেন।
আবাদুল সালাম নামের এক ভক্তরা বলেন, প্রতি বছর পূর্ণিমা তিথিতে আমরা এখানে জড়ো হই। এখানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হযরত খানজাহানের আশেকানরা দেশীয় বাদ্যযন্ত্র নিয়ে গানের আসর বসান। আনন্দ ফূর্তি করে আবার সবাই যার যার গন্তব্যে ফিরে যাই।
মাজারের প্রধান খাদেম শের আলী ফকির বলেন, প্রতি বছর চৈত্র মাসের পূর্ণিমা তিথিতে এই মেলা বসে। খানজাহানের হাজার হাজার ভক্ত তাদের নানা মনোবাসনা নিয়ে হাজির হন। তারা বিশ্বাস করেন খানজাহান এখানে কাউকে খালি হাতে ফিরান না। তাদের সব আশা পূরণ করেন খানজাহান। তাই সব সব ধর্মের মানুষ এই সময়ে হযরত খানজাহানের মাজারে মিলিত হয়।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘এবার মেলায় সব ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। এছাড়া পুলিশের পাশাপাশি একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সেখানে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস