শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০২:২৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
দ্বাদশ সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী-মন্ত্রীদের জন্য ৯৪০ প্রশ্ন ভরিতে আরও ১৮৭৮ টাকা কমলো সোনার দাম সব প্রার্থী আমাদের কাছে সমান: ইসি আলমগীর টোল আদায়ে দুর্নীতি, দুদকের হস্তক্ষেপে ইজারা বাতিল রোহিঙ্গাদের ফেরাতে বাংলাদেশের পাশে আছে ইউরোপ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করেই আ.লীগ ক্ষমতায় এসেছে : কাদের এপ্রিলে নির্যাতনের শিকার ১৯৩ নারী-শিশুকন্যা ৯ মে পর্যন্ত চলবে সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ মৃত ব্যক্তিদের জাল সনদ: মিল্টন সমাদ্দারের ৩ দিনের রিমান্ড গণমাধ্যম শুধু মুক্ত নয়, উন্মুক্ত : তথ্য প্রতিমন্ত্রী যাত্রীবাহী বাস থেকে ৭টি স্বর্ণের বারসহ চোরকারবারি আটক আমন মৌসুম থেকেই চাল ছাঁটাই ও পলিশ বন্ধ করা হবে : খাদ্যমন্ত্রী টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ ১০ বাংলাদেশি জেলেকে অপহরণের অভিযোগ আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে শনিবার থেকে খোলা স্কুল-কলেজ: শিক্ষা মন্ত্রণালয় ইসলামী ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রা জমা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ১২ কেজি এলপিজির দাম কমলো ৪৯ টাকা শেয়ার ছাড়বে রূপালী ব্যাংক নীলফামারীতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধার মৃত্যু

হঠাৎ রাজনীতিতে উত্তাপ,পাল্টাপাল্টি সমাবেশের ডাক

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বুধবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
  • ১৪১ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: হঠাৎ দেশের রাজনীতির ময়দানে উত্তাপ দেখা দিয়েছে। চায়ের টেবিল থেকে শুরু করে সর্বত্রই এখন আলোচনার ঝড় আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর রাজনৈতিক অঙ্গনে কী হতে যাচ্ছে? এনিয়ে দেশের মানুষের মধ্যে একটা উদ্বেগ-উৎকন্ঠাও কাজ করছে। এমন একটি শঙ্কা দেখা দেওয়ার কারণ অবশ্য আওয়ামী ণীগ ও বিএনপির পাল্টাপাল্টি সমাবেশকে ঘিরে।

আগামী শনিবার রাজধানীতে সমাবেশের ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দল। একই দিন জনসভা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার এ সমাবেশ করার ঘোষণা দেয়া হলেও গতকাল জানানো হয়েছে তা দুই দিন পিছিয়ে শনিবার করা হবে। ১৪ দল মহানগর নাট্যমঞ্চে নাগরিক সমাবেশ করার প্রস্তুতি নিলেও এ সমাবেশ ঘিরে ব্যাপক লোক সমাগম করতে চায়। গতকাল ১৪ দলের সমন্বয়ক ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিম এ দিন রাজপথ ১৪ দলের দখলে রাখার ঘোষণা দেন। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ২৯শে সেপ্টেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলের জনসভা করার কথা জানান। সভার অনুমতি পাওয়ার বিষয়েও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে বিএনপির সমাবেশে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতারাও অংশ নিতে পারেন।

এ দুই দাবিতে সামনে আন্দোলনে নামার কথাও বলে আসছেন দলটির নেতারা। এদিকে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে অক্টোবর থেকে কর্মসূচিতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া ও যুক্তফ্রন্ট। তারা চেষ্টা করছেন এসব কর্মসূচিতে বিরোধী সব রাজনৈতিক দলকে যুক্ত করে বৃহত্তর ঐক্য ও আন্দোলন জোরদার করা। এ অবস্থায় হঠাৎ একই দিনে রাজধানীতে সভা-সমাবেশের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিকে ঘিরে উত্তেজনা বিরাজ করছে রাজনীতির মাঠে। ১৪ দল ও বিএনপির সূত্র বলছে, এদিন ব্যাপক শোডাউনের লক্ষ্য রয়েছে।

ঢাকা দখলে রাখার ঘোষণা ১৪ দলের: শনিবার রাজধানীতে বিরোধী রাজনৈতিক দলের সমাবেশের আগে ঢাকা দখলে রাখার ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন ১৪ দলীয় জোট। গতকাল এ ঘোষণা দেন জোটের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম। রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে ২৯শে সেপ্টেম্বর ১৪ দলীয় জোট সমাবেশ করার ঘোষণা দেয়ার পর একই দিনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপিও সমাবেশ করার ঘোষণা দেয়ায় এ মন্তব্য করেন তিনি। সোমবার ১৪ দলের পক্ষ থেকে মোহাম্মদ নাসিম ঘোষণা দিয়েছিলেন মহানগর নাট্যমঞ্চে আগামী শনিবার (২৯শে সেপ্টেম্বর) সমাবেশ করা হবে।

এই সমাবেশ উপলক্ষে গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় মোহাম্মদ নাসিম বলেন, চক্রান্তকারীরা মাঠে নামবে। আমরা দেখবো, কারা মাঠে নামবে আর কে নামবে না? এ সময় মোহাম্মদ নাসিম বলেন, আগে থেকেই ঢাকা দখলে ছিল আমাদের, ইনশাল্লাহ আগামীদিনেও ঢাকা আমাদের দখলে থাকবে। শুধু ঢাকা নয়, সারা বাংলাদেশ শেখ হাসিনার দখলে থাকবে বলে ঘোষণা দেন তিনি। জোটের নেতাকর্মীদের যেকোনো চক্রান্তের বিরুদ্ধে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা এলাকায় প্রস্তুত থাকবেন, যেন ওই অপশক্তি মাঠে নামতে না পারে। ওদের মাঠে প্রতিহত করবেন, রাস্তায় প্রতিহত করবেন।

চক্রান্তকারীরা মাঠে নামবে। আমরা দেখবো কারা মাঠে নামবে আর কে নামবে না? নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, আগামী একটা মাস আপনাদের কোনো কাজ নেই। ১৪ দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে পাড়া-মহল্লায় আপনারা সজাগ থাকবেন। কোনো চক্রান্ত-নৈরাজ্য হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ইনশাল্লাহ আমরা প্রতিহত করব। আওয়ামী লীগ ও ১৪ দল নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছে জানিয়ে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, নির্বাচনের প্রচারের কাজ শুরু হয়ে গেছে। আমাদের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে ইতিমধ্যে জেলা-উপজেলায় নির্বাচনী প্রচারের কাজ শুরু হয়েছে। ১৪ দলের শরিক দলগুলোও দেশের বিভিন্ন জায়গায় নির্বাচনের প্রচারের কাজ শুরু করে দিয়েছে। আমরা চাই, এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হোক। কিন্তু যখন কোনো উত্তপ্ত রাজনীতিবিদরা, দলছুট রাজনীতিবিদরা, যাদের আদর্শের কোনো ঠিকানা নেই, দলের কোনো স্থায়ী ঠিকানা নেই, তারা গণতন্ত্রের কথা বলেন, তখন আমাদের সন্দেহ হয় যে, আবারো সেই অসৎ চক্রান্ত শুরু হয়ে গেছে। ২৯শে সেপ্টেম্বরের সমাবেশ সফল করার আহ্বান জানিয়ে ১৪ দলের সমন্বয়ক বলেন, আপনারা ১৪ দলের প্রোগ্রামে আসবেন। সেখানে আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের নেতারা বক্তব্য রাখবেন।

ঢাকার প্রতিটি ঘরে ঘরে এ বার্তা পৌঁছে দিতে হবে। ২৯ তারিখ ১৪ দলের সমাবেশ। আপনারা আপনাদের এমপিকে নিয়ে ঘরে ঘরে পৌঁছে যান। ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বধানী জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সমালোচনা করে ১৪ দলের মুখপাত্র বলেন, আমরা এত দিন দেখেছি খেলার সময় খেলোয়াড় ভাড়া করা হয়। এখন দেখছি ড. কামাল হোসেনের মতো নেতারাও ভাড়ায় যাচ্ছেন। তিনি বলেন, আমাদের সঙ্গে খেলবেন খেলেন, কোনো সমস্যা নেই। তবে ভাড়াটে খেলোয়াড় দিয়ে কি কখনো জয় পাওয়া যায়? যায় না। যাদের নিজেদেরই কোনো অস্তিত্ব নেই তারা অন্য দলে গিয়ে কী অস্তিত্ব পাবে? যারা জাতীয় ঐক্যের ঘোষণা দিচ্ছে তাদের প্রতি মানুষের আস্থা নেই জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা (যুক্তফ্রন্ট ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতারা) বর্ণচোরা, আপনাদের প্রতি দেশের জনগণের আস্থা নেই। আমি বিশ্বাস করি আপনাদের কর্মীদেরও আপনাদের প্রতি আস্থা নেই।

নির্বাচন বানচালের কোনো চেষ্টা সফল হবে না মন্তব্য করে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এখানে যে কোনো দল অংশগ্রহণ করতে পারে। এ বিষয়ে আমাদের কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়ার প্রয়োজন নেই। কিন্তু দুঃখজনক এবং দুর্ভাগ্যজনক হলো, ওই সমস্ত চেনা মুখগুলো যখন গণতন্ত্রের কথা বলে মাঠে নামে তখন এদেশের মানুষের মধ্যে শঙ্কার সৃষ্টি হয়। যখনই এদেশে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই হয়েছে, এই চেনা মুখগুলো নির্বাচনকে বিলম্বিত করার জন্য বারবার চেষ্টা করেছে। বাংলাদেশের মানুষ সব সময় গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছে, সংগ্রাম করেছে। নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন হবে। নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের নামে সেনাবাহিনীকে উত্তেজিত করা হচ্ছে দাবি করে আওয়ামী লীগের সিনিয়র এ নেতা বলেন, আমরা দেখেছি কীভাবে সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করে অতীতে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বর্তমান আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথেষ্ট।

সোহরাওয়ার্দীতে সমাবেশ ঘোষণা বিএনপির : ঢাকার জনসভা দুইদিন পিছিয়ে আগামী শনিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছ বিএনপি। দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গতকাল এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। রিজভী বলেন, জনসভা সাফল্যমণ্ডিত করার জন্য আমাদের দলের নেতা-কর্মী, অঙ্গসংগঠনগুলোর ইউনিট পুরোদমে কাজ করছে। আমরা আশা করছি, ২৯ সেপ্টেম্বরের জনসভাটি সাফল্যমণ্ডিত হবে। জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া’র সমাবেশের পর রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণের আলোচনার মধ্যে সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বৃহস্পতিবার জনসভাটি করার ঘোষণা দিয়েছিল বিএনপি।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করার অনুমতি পাওয়া গেছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, আমরা ওইভাবে অনুমতি পাইনি। তবে আশা রাখছি অনুমতি পাব। রিজভী বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চরম স্বাস্থ্যঝুঁঁকিতে রয়েছেন। যখন অন্যায়ভাবে সাজা দিয়ে তাকে কারাগারে নেয়া হয় তখন তিনি এত রোগাক্রান্ত ছিলেন না। কর্তৃৃপক্ষের অবহেলা, হয়রানী, অস্বাস্থ্যকর স্যাঁতসেতে বদ্ধ পরিবেশের মধ্যে তাঁকে দিনযাপন করতে হচ্ছে, যা একটি চরম নির্যাতন। কারা কর্তৃপক্ষ তাঁকে সুচিকিৎসা হতে বঞ্চিত করেছে। বিশেষায়িত হাসপাতালের সুবিধা ও ব্যক্তিগত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মাধ্যমে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা থেকেও বঞ্চিত করেছে। অগ্রাহ্য করা হয়েছে দল ও পরিবার থেকে বারবার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের সমন্বয়ে মেডিকেল বোর্ড গঠনের দাবি।

রিজভী বলেন, সরকারীদলের সমর্থক ও আওয়ামী রাজনীতিতে সক্রিয় বিএসএমএমইউ’র চিকিৎসকদের দিয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডও দেশনেত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পরে স্ববিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। একদিকে তারা বলেছেন- খালেদা জিয়ার অসুস্থতা গুরুতর নয়, আবার বলেছেন, তাঁর আর্থারাইটিসের ব্যথা, ফ্রোজেন শোল্ডার, হাত নড়াচড়া করতে পারেন না। হিপ-জয়েন্টেও ব্যথার মাত্রা প্রচন্ড। ফলে শরীর অনেক অসুস্থ, তিনি পা তুলে ঠিক মতো হাঁটতেও পারেন না। বিএসএমএমইউ অথবা বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। সরকারী মেডিকেল বোর্ডের বক্তব্য অনুযায়ী খালেদা জিয়া গুরুতর রোগে অসুস্থ নন, তাহলে তারা কেন হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দিলেন? এতে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে যেন এক প্যারাডক্স তৈরী করা হচ্ছে।

রিজভী বলেন, মেডিকেল বোর্ড তাঁকে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দিয়েছে, অথচ আদালতে তাঁর অনুপস্থিতিতে বিচারিক কার্যক্রম চলছে। খালেদা জিয়ার পক্ষে তাঁর আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া মামলার কার্যক্রম মূলতবি চেয়ে আবেদন করলেও তা নামঞ্জুর করা হয়। কিন্তু অসুস্থ বন্দী সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত তার অনুপস্থিতে বিচারিক কার্যক্রম বেআইনী। আমি দলের পক্ষ থেকে আবারও দৃঢ়কন্ঠে বলতে চাই- খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসাসহ এই মূহুর্তে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতা হারানোর ভয়ে কান্ডজ্ঞান শূন্য হয়ে পড়েছেন। তিনি তাঁর সামনে, পেছনে, ডানে-বায়ে যারা তাঁকে ঘিরে আছে তাদের দিকে তাকান না, শুধু তাঁর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের কুৎসা রটাতেই ব্যস্ত থাকছেন। ক্ষমতাসীন হওয়ার পরে কিম্ভুতকিমাকার একনায়কতন্ত্র কায়েম করার জন্যই তিনি বেহুঁস হয়ে গণতন্ত্র ও নির্বাচন প্রক্রিয়া সন্ত্রাসের বেড়াজাল দিয়ে ঘিরে রাখতেই স্বৈরাচার হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বজোড়া নামডাক হয়েছে। তাঁর মুখে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে বিষোদগার হাস্যকর।

রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেশবাসী জানতে চায়- বিগত দশ বছরে ব্যাংক, বীমা লুটের টাকা গেল কোথায়? শেয়ার বাজার লুটের টাকা গেল কোথায়? ব্যাংকে আমানতকৃত টাকা চেক দিয়ে মানুষ না পেয়ে ফেরত আসে কেন? বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি করেছে কে? এখনও কেন রিজার্ভ চুরির তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়নি ?

ব্রিফিংয়ে অন্যদের মধ্যে- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, কেন্দ্রীয় শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, আসাদুল করীম শাহিন, মুনির হোসেন, আবদুল বারী ড্যানি, হারুনুর রশীদ হারুন উপস্থিত ছিলেন।

বাংলা৭১নিউজ/এসবি

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com