বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, সব দুর্ঘটনাকে দুর্ঘটনা নয়, পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলতে চাই। কেন না, আমাদের সড়কের সমস্ত অব্যবস্থাপনা, বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্যকর পরিবেশে আমাদের যাতায়াতে বাধ্য করা হচ্ছে।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে ‘সড়কে নৈরাজ্য ও অব্যবস্থাপনা উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
বৈঠকে বক্তারা রাজধানীতে ৮৭ শতাংশ বাস-মিনিবাস নৈরাজ্য-বিশৃঙ্খলার সঙ্গে জড়িত বলে দাবি করেছেন।
সংগঠনটির হিসাবে, প্রতিদিন সড়ক-মহাসড়কে কমপক্ষে ৬৪টি তাজা প্রাণ ঝরে যাচ্ছে। সংগঠনটি বলছে, সড়কের এসব দুর্ঘটনা আসলে দুর্ঘটনা নয়, পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
বৈঠকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান রিয়াজুল হক বলেন, সড়ক খাতে অব্যবস্থাপনার কারণে প্রতি মুহূর্তে জনগণকে জীবন দিতে হচ্ছে। নারী, প্রতিবন্ধীদের যাতায়াতের জন্য পরিবহনে কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি। কিছু প্রভাবশালীর কারণে এ খাতে শৃঙ্খলা থাকছে না। নৈরাজ্য কমাতে সরকারের সদিচ্ছা থাকতে হবে।
সভার শুরুতে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তাতে বলা হয়, সমিতির সমীক্ষা অনুযায়ী, রাজধানীতে ৮৭ শতাংশ বাস-মিনিবাস নৈরাজ্য-বিশৃঙ্খলার সঙ্গে জড়িত। প্রতিদিন সড়ক-মহাসড়কে কমপক্ষে ৬৪টি তাজা প্রাণ ঝরে যাচ্ছে। প্রতিদিন পঙ্গুত্বের তালিকায় যুক্ত হচ্ছে ১৫০ জনেরও বেশি মানুষ।
মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, সড়কের অব্যবস্থাপনা, বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য পরিবেশে যাত্রীদের যাতায়াতে বাধ্য করা হচ্ছে।
পরিবহন খাত একক কর্তৃপক্ষের অধীনে না আনলে অব্যবস্থাপনা বন্ধ হবে না বলে মনে করেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) সাবেক নির্বাহী পরিচালক সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, সরকারের কোনো সংস্থা পরিবহন খাতের দায়িত্ব নিতে চায় না।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাহবুব আলম তালুকদার, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া প্রমুখ।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস