শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:০৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে দুটি নতুন ট্রেন লোহিত সাগরে হুথিদের হামলায় পিছু হটলো মার্কিন যুদ্ধজাহাজ অন্তর্বর্তীকালীন দা‌য়িত্ব পালনে ঢাকায় ট্র্যাসি জ্যাকবসন শ্রম আইনে পরিচালনার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব, বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের দু’পক্ষের হাতাহাতি পরিবেশ রক্ষায় সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে মায়ের জন্য বাসায় রান্না করা খাবার নিয়ে গেলেন তারেক রহমান বাংলাদেশকে সব ধরনের সহায়তা করতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র লেবানন-ইয়েমেনে ইসরায়েলের হামলা, গাজায় নিহত আরও ২১ সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুলসহ ৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র প্রকাশের দাবিতে লিফলেট বিতরণ এবার কারও পক্ষ নিয়ে কাজ করলে অসুবিধা হবে : কর্মকর্তাদের সিইসি অল্প কিছুদিনের মধ্যে দেশে ফিরবেন তারেক রহমান: মির্জা ফখরুল ইসলামী ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা চুরি শেখ হাসিনার দুর্নীতি খুঁজে বের করতে টাস্ক ফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত ডিএমপির ১২ ডিসিকে বদলি ‘বৃহত্তর ইসরাইলের’ মানচিত্র প্রকাশ, আরব দেশগুলোর কড়া প্রতিবাদ বিমানবন্দরে রক্তাক্ত সেই প্রবাসীকে জরিমানা, হতে পারে জেলও ৩০ জুনের আগেই মহার্ঘভাতা ঘোষণা মানিকগঞ্জে ডিসির রুমের সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান

সড়ক অবকাঠামো পুনবার্সনে ৫৯০৫ কোটি টাকার প্রকল্প

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা:
  • আপলোড সময় মঙ্গলবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২০
  • ৪৭ বার পড়া হয়েছে

ঘূর্ণিঝড় আম্পান ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় অবকাঠামো পুনবার্সন ও অর্থনৈতিক গতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ৫ হাজার ৯০৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্পের অনুমোদন করেছে।

মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলানগর পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সভাকক্ষে একনেক চেয়ারপার্সন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিক একনেক সভায় এই প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী গণবভন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন।

সভাশেষে পরিকল্পনা সচিব মো. আসাদুল ইসলাম প্রকল্পের বিষয়ে বিস্তারিত ব্রিফ করেন। তিনি জানান, চলতি অর্থবছরের ১৫তম একনেক সভায় আজ ৫টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট খরচ হবে ৭ হাজার ৫০৫ কোটি ২৯ লাখ টাকা।

ঘূর্ণিঝড় আম্পান ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পল্লী সড়ক অবকাঠামো পুনর্বাসন প্রকল্পের বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য মো. জাকির হোসেন আকন্দ বলেন, প্রকল্প ব্যয়ের ৫ হাজার ৯০৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকার পুরো অর্থ সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় হবে। ডিসেম্বর ২০২৩ মেয়াদে স্থানীয় সরকার বিভাগ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। তিনি জানান, দেশের ৫৫ জেলার ৩৫৫টি উপজেলায় প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে।

জাকির হোসেন বলেন, প্রকল্পের আওতায় ঘূর্ণিঝড় আম্পান ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক ও ব্রীজ-কালভার্ট পুনর্বাসনের মাধ্যমে পল্লী সড়ক নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা সংরক্ষণ করা হবে। এর মাধ্যমে পরিবহন ব্যয় ও সময় সাশ্রয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন পণ্যের বাজারজাতকরণ সহজ হবে।

এছাড়া, সড়ক অবকাঠামো মেরামত ও পুনর্বাসনের মাধ্যমে গ্রামীণ কর্মসংস্থান তৈরি ও গ্রামীণ অর্থনীতি আরও সচল করা প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য বলে তিনি জানান।

প্রকল্পের আওতায় ২ হাজার ৩৮৮ দশমিক ৩৪ কিলোমিটার উপজেলা সড়ক, ২ হাজার ২৭৪ দশমিক ৬৮ কিলোমিটার ইউনিয়ন সড়ক, ১ হাজার ৫৩৪ দশমিক ৯৪ কিলোমিটার গ্রাম সড়ক ও ৭৮ কিলোমিটার আরসিসি সড়ক পুনবার্সন এবং ৪ হাজার ৬৩১ দশমিক ৮৫ মিটার ব্রীজ ও ৬৯২ মিটার কালভার্ট পুননির্মাণের পাশাপাশি ৩২৮ কিলোমিটার এলাকায় বৃক্ষ রোপন করা হবে।

পরিকল্পনা সচিব মো. আসাদুল ইসলাম জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একনেক সভায় ঘূর্ণিঝড় আম্পান ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় দ্রুততম সময়ে সড়ক পুনর্নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। একইসাথে তিনি সংশ্লিষ্টদের অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে বলেন, যাতে কোনভাবে ওভারল্যাপিং না হয়।

একনেক সভায় ৭৯৮ কোটি ৫৩ লাখ টাকা ব্যয়ে যমুনা নদীর ডানতীরের ভাঙ্গন হতে গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলাধীন কাতলামারী ও সাঘাটা উপজেলাধীন গোবিন্দি এবং হলদিয়া এলাকা রক্ষা প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়।

পরিকল্পনা সচিব আসাদুল ইসলাম জানান, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নদী ভাঙ্গণ রোধের প্রধান কৌশল হতে হবে পানির স্রোত বা প্রবাহ ধরে রাখা। এর জন্য নদী খননের মাধ্যমে নাব্যতা বজায় রাখতে হবে। কোন কারণে যেন পানির স্রোত কোথাও বন্ধ না হয়, সেদিকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে মনোযোগ দেয়ার নির্দেশ দেন তিনি।

১ হাজার ২৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প : বরিশাল, ঝালকাঠি ও পিরোজপুর জেলা (১ম সংশোধিত) প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। মূল অনুমোদন ছিল ৯৫০ কোটি টাকার, সংশোধনী প্রকল্পে ৩৫৫ কোটি টাকার ব্যয় বাড়ানো হয়।

প্রধানমন্ত্রী একনেক সভায় গ্রামীণ সড়ক অবকাঠামো নির্মাণের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগকে মহা পরিকল্পনা প্রণয়নের নির্দেশ দেন।
একনেকে অনুমোদিত অন্য দুই প্রকল্প হলো-খুলনা সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন, এর বাস্তবায়ন খরচ ধরা হয়েছে ৩৯৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা এবং ২২৯ কোটি ৩৭ লাখ টাকা ব্যয়ে শেখ হাসিনা সাংস্কৃতিক পল্লী নির্মাণ প্রকল্পের (১ম সংশোধিত) অনুমোদন দেয়া হয়েছে। মূল অনুমোদনে ব্যয়ের পরিমাণ ছিল ১২৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।

বাংলা৭১নিউজ/এএম

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com