বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: ঢাকা মহানগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং যান চলাচলে শৃঙ্খলা আনতে চতুর্থবারের মতো বিশেষ অভিযানে মাঠে নামেছে পুলিশ। গত রবিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, ১৫ থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ট্রাফিক শৃঙ্খলা কার্যক্রম চলবে।
ডিএমপি জানিয়েছে, নগরবাসীকে ট্রাফিক আইন মেনে চলতে উদ্বুদ্ধকরণ এবং ট্রাফিক শৃঙ্খলার উন্নতিকল্পে সুনির্দ্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে শৃঙ্খলা কার্যক্রম সফল করার জন্য নগরবাসীকে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
ট্রাফিক শৃঙ্খলার উন্নয়নে ১৫ থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত যেসব কার্যক্রম পরিচালিত হবে, সেগুলো হচ্ছে- ট্রাফিক সচেতনতামূলক লিফলেট, প্লেকার্ড, ফেস্টুন, গাইড বই বিতরণ, সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে নিয়ে ঢাকা মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ ইন্টারসেকশন গুলোতে ট্রাফিক সচেতনতামূলক কার্যক্রম অনুষ্ঠানের আয়োজন।
রোভার স্কাউট, রেড ক্রিসেন্ট, গার্ল গাইডস, বিএনসিসি সদস্যদের ট্রাফিক কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করা, ঢাকা সিটি কর্পোরেশন উত্তর ও দক্ষিণের সাথে সমন্বয় করে অবশিষ্ট জেব্রা ক্রসিং, রোড মার্কিংগুলো দৃশ্যমান ও স্থাপনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
মূল সড়কের পাশে অবস্থিত স্কুল কলেজের ক্লাশ শুরু এবং ছুটির সময়ে ওই এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ ও স্কুল কলেজের ভলান্টিয়ার মোতায়েন করা এবং এসব অঞ্চলে যথাযথ ট্রাফিক সাইন স্থাপন করা, হাইড্রলিক হর্ণ, দ্রুতগতির যানবাহন, বেপরোয়াগতি, হুটার, বিকন লাইট, উল্টো পথে চলাচল এবং মোটর সাইকেলের আরোহীদের হেলমেট পরিধানসহ সব ধরনের ট্রাফিক আইন লংঘনের বিরুদ্ধে পরিচালিত বিশেষ ট্রাফিক অভিযান এবং মোবাইল কোর্ট কার্যক্রম অব্যাহত রাখা।
ঢাকা মহানগরী এলাকার গুরুত্বপূর্ণ ২৯টি পয়েন্টে চেকপোস্ট কার্যক্রম অব্যাহত রাখা, ঢাকা মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ ৩০টি ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারে পথচারীদের উদ্বুদ্ধকরণে পুলিশ সদস্য মোতায়েন কার্যক্রম অব্যাহত রাখা।
গাড়ি চালানোর সময় স্টপেজ ব্যতীত সব সময় গাড়ির দরজা বন্ধ রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ, জেব্রা ক্রসিং এর আগে স্টপ লাইনে গাড়ি থামানো এবং স্টপেজ ছাড়া যত্রতত্র গাড়ি থামানো বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বামলেন ঘেষে নির্ধারিত স্টপেজে গাড়ী থামিয়ে যাত্রী উঠানামা নিশ্চিত করা।
ভিডিও মামলার সংখ্যা বৃদ্ধি করা, ইতোপূর্বে মডেল করিডোর হিসেবে ঘোষিত বিমানবন্দর হতে শহীদ জাহাঙ্গীর গেইট, ফার্মগেট, সোনারগাঁও, শাহবাগ, মৎস ভবন, কদম ফোয়ারা, পুরাতন হাইকোর্ট হয়ে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ভিআইপি সড়কের ইন্টারসেকশন গুলোতে রিমোর্ট কন্ট্রোল সরবরাহ নিশ্চিত করে অটোমেটিক ও রিমোর্ট কন্ট্রোলের মাধ্যমে সিগন্যাল পরিচালনা করা, ফার্মগেট হতে সাতরাস্তা পর্যন্ত গাড়ী চলাচলের জন্য উন্মুক্ত রাখা।
গত বছরের ২৯ জুলাই রাজধানীর কুর্মিটোলায় রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী বাসচাপায় নিহত হওয়ার প্রতিবাদ ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে সারা দেশে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা রাজপথে নেমে আসে। প্রায় দুই সপ্তাহ আন্দোলন চলার পর সরকারে আশ্বাসে তারা রাজপথ ছেড়ে ক্লাসে ফিরে। আন্দোলন চলাকালেই ট্রাফিক সপ্তাহ পালন শুরু করে পুলিশ। ২০১৮ সালের ৫ আগস্ট থেকে ১৪ আগস্ট পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীতে ট্রাফিক সপ্তাহ, ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মাসব্যাপী ট্রাফিক আইনের কঠোর বাস্তবায়নের জন্য ট্রাফিক সচেতনতা মাস পালন ও সর্বশেষ ২৪ থেকে ৩১ অক্টোবর ট্রাফিক শৃঙ্খলা সপ্তাহ পালন করে ডিএমপি।
বাংলা৭১নিউজ/জেড এইচ