বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: তৃণমূল পর্যায় থেকে রোগ ও রোগীর প্রকৃতিভেদে সঠিক রেফারেল পদ্ধতি চালু করা সম্ভব হলে স্বাস্থ্যব্যবস্থায় অধিকতর ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
তৃণমূল পর্যায় থেকে এই পদ্ধতি চালু করা সম্ভব হলে জেলা পর্যায়ের হাসপাতাল, মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, স্নাতকোত্তর ইনস্টিটিউটের মতো টার্শিয়ারি হাসপাতালগুলোর সাধারণ রোগীর চাপ কমবে।
সোমবার রাজধানীর গুলশানে হোটেল লেকশোরে আয়োজিত এক কো-অর্ডিনেশন সভায় বক্তরা এ অভিমত ব্যক্ত করেন। প্রান্তিক মানুষের সেবার মান আরও উন্নত ও টেকসই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সঙ্গে সমন্বিতভাবে এই প্রথম কো-অর্ডিনেশন সভার আয়োজন করে।
প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়ন, বিশেষ করে, মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নের জন্য রাজশাহী ও নওগাঁ জেলায় কাজ করছে উন্নয়ন সংস্থা সুইচ রেডক্রস ও ডাসকো।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী মুস্তফা সারোয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, এমসিএইচ’র পরিচালক ডা. মোহাম্মদ শরীফ, সুইচ রেডক্রসের কান্ট্রি ডিরেক্টর অমিতাভ শর্মা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে ড্রাফট রেফারেলের গাইডলাইন তুলে ধরেন প্রফেসর জিয়াউল ইসলাম এবং প্রকল্প সম্পর্কিত সার্বিক তথ্য তুলে ধরেন সুইচ রেডক্রস ডেলিগেট অ্যাঞ্জেলা বুমমার।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, রেফালের সিস্টেম চালু হলে তৃণমূল পর্যায়ের গরিব মানুষরা অপেক্ষাকৃত জটিল রোগগুলো চিকিৎসা করতে পারবেন। রেফারেল সিস্টেম চালু হলে সাধারণ সর্দি-কাশির মতো রোগগুলোর চিকিৎসা করতে অধ্যাপক অথবা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সময় নষ্ট হবে না।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, একেবারে তৃণমূল পর্যায় থেকে সরকারি হাসপাতালগুলোতে রোগ ও রোগীর প্রকৃতিভেদে সঠিক রেফারেল পদ্ধতি চালু করা সম্ভব হলে স্বাস্থ্যব্যবস্থায় অধিকতর ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। এ ব্যাপারে জনগণকে সচেতন করতে হবে। রেফারেলের প্রয়োজনীয়তা রোগীকে বোঝাতে হবে।
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস