বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: দেশে প্রতিদিন বাড়ছে কভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা।এ অবস্থায় রোগীদের সেবা দিতে সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করা চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের আবাসনের ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন (বিপিসি)। এরই মধ্যে ঢাকার অবকাশ হোটেলটি স্বাস্থ্যকর্মীরা ব্যবহার শুরু করেছেন। একই সঙ্গে প্রস্তুত রাখা হয়েছে দেশব্যাপী ছড়িয়ে থাকা বিপিসির সব হোটেল-মোটেল।
বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যান রাম চন্দ্র দাস জানান, চিকিৎসক, নার্সসহ নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় যেসব স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োজিত আছেন, তাদের জন্য এরই মধ্যে ঢাকায় পর্যটন করপোরেশনের হোটেল অবকাশ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।গত কয়েক দিন ধরে দিনে ও রাতের বিভিন্ন সময়ে তারা এসে সেখানে বিশ্রাম নিচ্ছেন। শুধু হোটেল অবকাশই নয়। সারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পর্যটন করপোরেশনের যতগুলো হোটেল-মোটেল রয়েছে, তার সবই স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সরকার চাইলে স্বাস্থ্যকর্মীরা অন্য হোটেলগুলোও ব্যবহার করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের অধীনে দেশের প্রায় সব পর্যটন এলাকার পাশাপাশি বড় শহরগুলোতে হোটেল-মোটেল রয়েছে। এর মধ্যে নভেল করোনাভাইরাসের ঝুঁকিতে থাকা কক্সবাজারে রয়েছে হোটেল শৈবাল, মোটেল উপল, মোটেল প্রবাল ও হোটেল লাবণী। সিলেটে রয়েছে পর্যটন মোটেল, পর্যটন মোটেল জাফলং, খাগড়াছড়ির পর্যটন মোটেল, কুয়াকাটায় পর্যটন ইয়ুথ ইন ও পর্যটন হলিডে হোমস। এছাড়া দিনাজপুর, রাজশাহী, রংপুর, রাঙ্গামাটি, গোপালগঞ্জ, টেকনাফ, বেনাপোল, বগুড়া, মোংলা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, চট্টগ্রাম, দিনাজপুর ও মেহেরপুরে পর্যটন করপোরেশনের আবাসিক হোটেল রয়েছে।
কভিড-১৯ রোগীদের সংস্পর্শে আসায় স্বাস্থ্যকর্মীরা সবচেয়ে ঝুঁকিতে। তাদের মাধ্যমে পরিবার বা অন্যরা সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কাও বেশি। তাই তাদের জন্য পৃথক বাসস্থানের জায়গা করতে বিশ্বের অনেক দেশেই আবাসিক হোটেলকে বেছে নেয়া হয়েছে। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে মুম্বাইয়ের বিলাসবহুল তাজ হোটেলের দরজা। যেসব চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তাদের রাখা হবে বিলাসবহুল তাজমহল প্যালেসে। এছাড়াও তাজ গ্রুপের আরো ছয়টি হোটেল খুলে দেয়া হয়েছে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য।
ইউরোপজুড়েও কয়েক ডজন হোটেল এখন স্বাস্থ্যসেবায় ব্যবহার হচ্ছে।মাদ্রিদের প্রায় ৪০টি হোটেলের মালিকরা ভবিষ্যতের কভিড-১৯ রোগীদের জন্য নয় হাজার বেড যুক্ত করার সুযোগ দিচ্ছেন। যুক্তরাজ্যে বেস্ট ওয়েস্টার্ন, ট্রাভেলজ ও হিলটনের মতো ব্র্যান্ডের মালিকরা নিজেদের কিছু হোটেল অস্থায়ী নভেল করোনাভাইরাস ওয়ার্ডে রূপান্তরের বাস্তবতা নিরূপণ করতে দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্যসেবার সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। ইউরোপের বৃহৎ আতিথেয়তা সংস্থা অ্যাকর ফ্রান্সে নার্সিং কর্মীসহ নভেল করোনাভাইরাসের সঙ্গে লড়ে যাওয়া সবার জন্য ৪০টি হোটেল উন্মুক্ত করে দিয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ