চুয়াডাঙ্গায় স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। শনিবার সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ নুরজাহান খাতুন।
নুরজাহান খাতুন (৪২) দামুড়হুদা উপজেলার লোকনাথপুর গ্রামের জাহান আলীর স্ত্রী। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে পলাতক রয়েছেন অভিযুক্ত স্বামী। এ ঘটনায় নুরজাহানের শাশুড়িকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, পারিবারিক কলহের কারণে বিভিন্ন সময় গৃহবধূ নুরজাহান খাতুনকে মারধর করতেন স্বামী জাহান আলী। শুক্রবার রাতে পারিবারিক কলহের জেরে তাকে নির্মম নির্যাতন করেন তার স্বামী। রাতেই ওই গৃহবধূকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকালে মারা যান তিনি। মারা যাওয়ার পর ওই গৃহবধূর মরদেহ কৌশলে নিয়ে যাওয়া হয় বাড়িতে। সেখানে ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফনের চেষ্টা করা হলে উভয় পরিবারের মধ্যে বাগবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। পরে দুপুর দেড়টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পুনরায় সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।
নিহতের মা রহিমন বেগম জানান, বিয়ের পর থেকেই তার মেয়েকে প্রায়ই নির্যাতন করত জামাই জাহান আলী ও তার শাশুড়ি নুরজাহান। নুরজাহানের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল খালেক জানান, নিহত গৃহবধূর মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই সুন্নত আলী বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পলাতক স্বামী জাহান আলীকে গ্রেফতার করতে অভিযান চালানো হচ্ছে।