রাজধানীর মিরপুরের বাসিন্দা রিয়াজুল হাসান রতনের দুটি কিডনিই নষ্ট। গত বৃহস্পতিবার থেকে রাজধানীর মিরপুরে কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে ভর্তি তিনি। স্ত্রী মরিয়ম রহমান স্বামীর ওষুধ কিনে হাসপাতালে ঢোকার সময় প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়েন।
চক্রটি মরিয়মের সঙ্গে কথা বলার পর নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারান মরিয়ম। এরপর যখন তিনি স্বাভাবিক হন তখন দেখতে পান তার গলার স্বর্ণের চেইন, কানের দুল ও কাছে থাকা ব্যাগ (দুটি মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা ছিল) সবকিছু নিয়ে সটকে পরেছে চক্রটি।
অসহায় ওই নারী দ্রুত ছুটে যান মিরপুর মডেল থানায়। ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে একটি অভিযোগও করেছেন। ঘটনা তদন্তে মাঠে নেমেছে পুলিশ।
অসুস্থ স্বামীকে নিয়ে অসহায় ওই নারীর সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটেছে রোববার সকালে। তার বাসা মিরপুর মডেল থানাধীন ১৩২/১সি। রাজধানী জুড়েই এমন প্রতারক চক্র সক্রিয় রয়েছে। তবে মিরপুর এলাকায় এমন ঘটনা হরহামেশাই ঘটছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিরপুর মডেল থানার ওসি মো. মহসিন বলেন, আমরা ঘটনাটি শোনার পরই তাৎক্ষণিক তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছি।
ভুক্তভোগী মরিয়মের মিরপুর মডেল থানায় করা অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রোববার সকালে মিরপুর মডেল থানাধীন শিশু হাসপাতালে সামনে থেকে স্বামীর জন্য ওষুধ কিনে পায়ে হেঁটে মিরপুর দুই নম্বরের কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা করেন।
এ সময় অজ্ঞাতনামা তিন ব্যক্তি (বয়স আনুমানিক ২৫ থেকে ৩০ বছর) মরিয়মের কাছে এসে গল্পের ছলে বিভিন্ন রকম কথা বলে কৌশলে হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের পেছনের গলিতে নিয়ে তাকে চেতনানাশক দ্রব্য দিয়ে অচেতন করে গলায় ও কানে থাকা দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন এবং দুটি কানের দুল, ভ্যানিটি ব্যাগে থাকা নগদ টাকা ও মুঠোফোন নিয়ে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর তিনি স্বাভাবিক হয়ে দেখতে পান সব কিছু নিয়ে গেছে চক্রটি।
মরিয়ম রহমান বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই আমার স্বামী কিডনির রোগে ভুগছেন। এখন তার দুটো কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে। চিকিৎসকেরা কিডনি পরিবর্তন করতে বলেছেন। এমন পরিস্থিতিতে আমার কাছ থেকে প্রায় দেড় লাখ টাকার মালামাল নিয়ে গেছে প্রতারকেরা। আমি কতটা খারাপ অবস্থায় আছি- তা কাউকে বোঝাতে পারব না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার সঙ্গে কথা বলার পর কী হলো কিছুই বুঝতে পারিনি। কিছু সময় পরে দেখি আমার কাছে কিছুই নেই।’
মিরপুর মডেল থানার এএসআই সোহাগ রানা বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। অপরাধীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ