করোনা সংক্রমণ কমাতে সরকারের কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেও ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে খোলা রাখা হয়েছে মার্কেট, শপিং মল-সহ বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজ। তবে সরকারের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এসব মার্কেট, শপিং মল এবং ফ্যাশন হাউজ খোলা রাখার কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। মাস্ক ব্যবহারের প্রবণতা বাড়লেও অনেকের মুখে নেই মাস্ক। তবে রাজধানীর ফ্যাশন হাউজগুলোতে ভিন্ন চিত্র লক্ষ করা যায়।
বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজ ঘুরে দেখা গেছে, আদাবরের সারা ফ্যাশন হাউজে ক্রেতা আসলেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং শরীরের তাপ মাত্রা মেপে সবাইকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও ক্রেতাদের মাস্ক না খুলে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে কেনাকাটা করার জন্য বলছেন প্রতিষ্ঠানটির সেলসম্যানরা। কেনাকাটা শেষ করে তিন ফিট দূরত্বে দাড়িয়ে কাউন্টারে বিল জমা দিতেও দেখা যায়।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনাকাটা করতে পেরে আনন্দিত ক্রেতারা। তারা বলছেন, মার্কেট এবং শপিং মলে স্বাস্থ্যবিধির কথা বলা হলেও তেমন মানা হচ্ছে না। তাই সারা ফ্যাশন হাউজকে নিরাপদ মনে করছেন তারা।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলা থেকে সারা ফ্যাশন হাউজে পরিবার নিয়ে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা করতে আসেন জালাল মিয়া। তিনি ইত্তেফাক অনলাইনকে বলেন, ‘এখানে কেনাকাটা করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। কারণ এখান থেকে ভালো মানের পোশাক কম দামে পরিবারের সবার জন্য কেনাকাটা করা সম্ভব হয়।’
আদাবর ছাড়াও বসুন্ধরা সিটিতেও সারা ফ্যাশন হাউজের একই চিত্র। ৪০০ টাকা থেকে শুরু করে ৩৫০০ টাকা উন্নত মানের পোশাক পাওয়া যায়।
সারা লাইফস্টাইলের সহকারী ব্যবস্থাপক শেখ রাহাত অয়ন বলেন, ‘এবারের ঈদে তাদের রয়েছে নতুন নতুন কালেকশন। একজন ক্রেতা পুরো পরিবারের জন্য কেনাকাটা করতে পারবেন অল্প টাকার মধ্যেই। এছাড়াও স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ক্রেতাদের কাছে পোশাক বিক্রি করা হচ্ছে।’
তবে অন্যান্য ফ্যাশন হাউজ, মার্কেট ও শপিং মল ঘুরে দেখা যায়, কোথাও তেমন স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না।
বাংলা৭১নিউজ/আরকে