বাংলা৭১নিউজ, এম.নাজিম উদ্দিন,পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর বাউফলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সামনে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে রফিক, কবির, নাসির, কামাল, রিয়াজ, রাহাত ও আনিসকে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে, রোববার বেলা ১১টায় নবনির্মিত বাউফল মডেল থানা ভবন যৌথভাবে উদ্বোধণ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্র্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ও জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ আ স ম ফিরোজ এমপি। উদ্বোধনের পরপরই সূধী সমাবেশে বক্তব্য প্রদানের প্রাক্কালে চীফ হুইপ আ স ম ফিরোজ ও বাউফল পৌরসভার মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলের সমর্থকরা শ্লোগান দেয়ায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তাৎক্ষণিকভাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও চীফ হুইপ আসম ফিরোজ নবনির্মিত থানার ভেতরে চলে যান। এরপরই দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও চেয়ার ছুড়া ছুড়ির ঘটনা ঘটে। নিরাপত্তা প্রাচীরের বাইরে থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। বিক্ষুব্দ নেতাকর্মীরা শতাধিক চেয়ার ভাংচুর করে।
সংঘর্ষের এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। কিছুক্ষণ পর সমাবেশে আসা শিক্ষার্থীসহ অনেককে আতংকে বাসায় চলে যেতে দেখা যায়। প্রায় আধাঘন্টা পর পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মইনুল হাসান এর সভাপতিত্বে সূধী সমাবেশ শুরু হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, যে কোন সময় রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত আছে। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতার মা হিসেবে খ্যাতি পেয়েছেন।
তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সঠিক সময়েই অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আসম ফিরোজ এমপি, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মহা পরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন, পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক ড. মাছুমুর রহমান, বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি শফিকুল ইসলাম বাউফল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মজিবুর রহমান ও বাউফল পৌরসভার মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল প্রমুখ। সমাবেশে শিক্ষক, সাংবাদিক ও জনপ্রতিনিধিসহ নানা শ্রেনী পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
এ ঘটনায় বাউফল থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, যারা সমাবেশের সুন্দর পরিবেশ নষ্ট করে থানা চত্বরে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়েছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস