বাংলা৭১নিউজ, ডেস্ক: ডায়াবেটিস রোগীর রক্তে যখন গ্লুকোজের মাত্রা বেশি থাকে তখন এক ধরনের এনজাইম গ্লুকোজকে সরবিটলে পরিবর্তন করে এবং এ সরবিটল স্নায়ুকোষে জমা হয়ে তার কার্যকারিতা ব্যাহত করে অর্থাৎ স্নায়ু দুর্বলতা দেখা যায়। অনেক সময় ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তিদের হাত ও পায়ের শেষ ভাগের স্নায়ুগুলো ধীরে ধীরে কার্যক্ষমতা কমে আসে। এর ফলে আক্রান্ত ব্যক্তির হাত ও পায়ের শেষ ভাগে অনুভূতি কমে যেতে থাকে। এটি রোগীর জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
যেমন- অনেকের পায়ের অনুভূতি এত কমে যায় যে, তার পা কেটে গেলে বা ব্যাথা পেলেও তিনি বুঝতে পারেন না।
লক্ষণ :
১. হাত-পা ঝিনঝিন করা,
২. হাত-পায়ের শক্তি কমে যাওয়া,
৩. হাত ও পায়ের মাংসপেশি শুকিয়ে যাওয়া,
৪. হাত ও পায়ের তালুতে জ্বালা-পোড়া অনুভব করা ইত্যাদি।
উপশম :
মনে রাখা প্রয়োজন ডায়াবেটিস রোগীর স্নায়ু দুর্বলতা চিকিৎসা তেমন ভালো পাওয়া যায় না। গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে গেলে ক্ষতিগ্রস্ত স্নাযু আবার উজ্জীবিত হতে পারে। স্নায়ু দুর্বলতার সঙ্গে যদি রক্ত সংবহনতন্ত্রের দুর্বলতা যুক্ত হয় তবে তা আরো জটিল হয়।
চিকিৎসায় প্রথমে প্রয়োজন ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা। দ্বিতীয়ত ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার মাধ্যমে হাত ও পায়ের মাংসপেশির কার্যক্ষমতা ঠিক রাখা ও নিয়মিত ব্যায়াম করা।
নিয়মিত ব্যায়াম করা :
ব্যায়ামে শক্তি খরচ হয় ফলে শরীরের ওজন কম থাকে ও শরীরে চর্বি কমে। ব্যায়ামের মাধ্যমে প্যাংক্রিয়াসের বেটা সেল থেকে ইনসুলিন তৈরি বৃদ্ধি পায়। ব্যায়াম ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা বাড়ায় ফলে শরীরে অল্প, যা ইনসুলিন তৈরি হয় তাতেই রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকে বাড়তি ওষুধের দরকার নাও পড়তে পারে।
ব্যায়ামের ফলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। ডায়াবেটিসের জটিলতা কমানো সম্ভব হয়। ব্যায়াম রক্তের ভালো কোলেস্টেরল (এইচডিএল) বাড়ায় এবং খারাপ কোলেস্টেরল (এলডিএল) কমায়।
যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন তাদের একই বয়সের লোকদের থেকে কম বয়স্ক দেখায়। ব্যায়াম ডায়াবেটিস রোগ প্রতিরোধেও উপকারী। নিয়মিত ব্যায়াম করলে ডায়াবেটিস দেরিতে হবে অথবা নাও হতে পারে।
তথ্য ও ছবি : ইন্টারনেট
বাংলা৭১নিউজ/সিএইস