বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে বসা নিয়ে চেম্বার আদালতের দেওয়া সর্বশেষ আদেশ ‘কঠোরভাবে’ মেনে চলতে জায়েদ খান ও নিপুণ আক্তারকে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। নিপুণ আক্তারের আবেদনে গত ৬ মার্চ হাইকোর্টের রায় স্থগিত করে স্থিতাবস্থা দেন চেম্বার আদালত।
এরপর নিপুণ আক্তার সমিতির চেয়ারে বসলে তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করেন জায়েদ খান। আজ সোমবার সে আবেদনের শুনানির পর তা চার সপ্তাহের জন্য মুলতবি রেখে এ আদেশ দেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ।
জায়েদ খানের আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আহসানুল করীম ও নাহিদ সুলতানা যুথী। নিপুণ আক্তারের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রোকনউদ্দিন মাহমুদ।
আদেশের পর নিপুণ আক্তারে আইনজীবী আহসানুল করীম সাংবাদিকদের বলেন, ‘চেম্বার আদালত যে আদেশ দিয়েছেন সেটা ‘স্ট্রিকলি’ ফলো করতে বলেছেন। এর ফলে স্থিতাবস্থার আগে জায়েদ খান অফিসে বসে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিলেন। সুতরাং স্থিতাবস্থা অনুযায়ী জায়েদ খান এই (সাধারণ সম্পাদকের) চেয়ারে কন্টিনিউ করবেন। ’
তবে নিপুণ আক্তারের আইনজীবী রোকন উদ্দিন মাহমুদের দাবি, হাইকোর্টের রায় স্থগিত করে চেম্বার আদালত স্থিতাবস্থা দেওয়ায় নিপুণ আক্তার সমিতির সাধারণ সম্পাদক। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘নিপুণ চেয়ারে আছেন, থাকবেন। ’
জায়েদ খানের প্রার্থীতা বাতিল ও একই সঙ্গে নিপুণ আক্তারকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করে নির্বাচনী আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে গত ২ মার্চ রায় দেন হাইকোর্ট। আদালত রায়ে বলে দেন, জায়েদ খান সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে থাকবেন। সে রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আাদলতে আবেদন করেন নিপুণ আক্তার। তার এ আবেদনের শুনানির পর গত ৬ মার্চ হাইকোর্টের রায়ে স্থগিত করে স্থিতাবস্থা দেন চেম্বার আদালত।
আগামী ৪ এপ্রিল পরবর্তী শুনানির তারিখ রেখে এই সময়ের মধ্যে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে নিয়মিত লিভটু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করতে বলা হয় নিপুণ আক্তারকে। চেম্বার আদালতের এ আদেশের পর নিপুণ আক্তার সমিতির চেয়ারে বসেছেন দাবি করে তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করেন জায়েদ খান।
গত ৮ মার্চ এ আবেদনটি চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে। সেদিন আদালত জায়েদ খানের আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দিলে আজ শুনানির পর আদেশ হলো।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ